Uncategorized

ভুয়া বিলে টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ !

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২০ , ২:০৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

{"source_sid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1601560920057","subsource":"done_button","uid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1601560920041","source":"other","origin":"gallery"}

বরিশাল জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে তোলপাড়

তালাশ প্রতিবেদক ॥ একের পর এক দূর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত বরিশাল জেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে এবার ভুয়া বিল তৈরির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মাসৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে কর্মরত স্টাফদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে তোলপাড় অবস্থা বিরাজ করে বরিশাল নগরীর জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস পাড়ায়। আর এমন জটিলতায় দীর্ঘ সময় মূল ভবনের প্রবেশদ্বার গেট তালাবদ্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়ে যায় সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ। ঘটনার সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এমন কর্মকা- কম্পিউটারের ভূল বলে ব্যাখ্যা দিয়ে একে অপরের কাঁধে দায়িত্বতার বিষয়টি চাপিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া সংবাদকর্মীদের কাছে কোন তথ্য প্রদান করতে নারাজ হন কর্মকর্তারা। পরে অবশ্য জেলা রেজিষ্ট্রারের প্রধান সহকারি নুসরাত জাহান ঘটনার সতত্যা স্বীকার করে জেলা রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে মিডিয়ার সামনে বিষয়টি উপস্থাপনের কথা বলেন। সংবাদ অনুসন্ধানে সংগৃহিত তথ্য, অফিসে কর্মরত নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করা নকলনবিশদের দেয়া বরাত ও সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায়, জেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের কর্মরত নকলনবিশদের কর্ম পারশ্রমিক বিল বাবদ একটি ভুয়া বিল তৈরি করে অভিযুক্ত আসাদ নামের এক নকলনবিশ। বিল তৈরি বা উত্তোলনের এমন কাজে তার কোন দায়িত্ব সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করে অভিযোগকারীরা আরও বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে অফিসে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত একাধিক নকলনবিশদের কার্যদিনে নাম উল্লেখ ও বিল তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে সেই বিল ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আসাদ। পরবর্তীতে সেই পারিশ্রমিক বিল স্বস্ব নকলনবিশরা আদায় করার সময় এমন জালিয়াতির বিষয়টি চোখে পড়লে শোরগোল পরে যায় অফিস পাড়ায়। এ নিয়ে নিয়মিত উপস্থিত নকলনবিশদের মাঝে কৌতূহল বশত হট্টগোল সৃষ্টি হলে টনক নড়ে কর্তাবাবুদের। পরে জালিয়াতির এমন কর্মকা- নিয়ে অফিস পাড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গণমাধ্যমকর্মীরা। এসময় সংবাদ পরিবেশনে মূল ঘটনা উদঘাটনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় দায়িত্বশীলদের সাথে। প্রথম পর্যায়ে তথ্য প্রদান করার জন্য দায়িত্বশীল কেউ অফিসে উপস্থিত নেই বলে জানান দেয় কর্মচারীরা। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষমান থাকার পর সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে হাজির হন জেলা রেজিষ্ট্রারের প্রধান সহকারি নুসরাত জাহান। এসময় সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা কম্পিউটারের ভুল হয়তো”। গত কার্যদিবসে নিজে ছুটি থাকার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “আমি ছুটিতে ছিলাম, এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রার স্যার বলতে পারবেন”। পরে মোট কত টাকা বিল উত্তোলন করা হয়েছে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সঠিক হিসাবের তথ্য প্রদান করতে নারাজ হন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আসাদের মাধ্যমে বিল তৈরি ও উত্তোলনের করানোর বিষয়টি কতটা যৌক্তকতা রয়েছে এমন উত্তর জানতে চাইলে প্রথম পর্যায়ে তিনি স্বীকার করে বলেন, বিল তৈরির দায়িত্ব আসাদের মাধ্যমে করা হয়। পরে অবশ্য প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বলেন, “বিলের এমন সমস্যার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের অফিসের পিওন ও আসাদের মাধ্যমে টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে”। এদিকে এ বিষয়ে রবিবার (আগামী ৪ সেপ্টেম্বর) কার্যদিবসে এমন ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ ইউসুফ আলী মিয়া। এদিকে মোট কত টাকা বিল জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে এমন তথ্য দায়িত্বশীলরা দিতে নারাজ হলেও বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় পরিমাণ প্রায় ৬ লক্ষাধিক। ভুয়া বিল তৈরি ও জালিয়াতি বিষয়টি আদৌ যান্ত্রিক সমস্যা নাকি দায়িত্বশীলদের উদাসীনতা এমন তথ্য জানতে জেলা রেজিষ্ট্রার পথিক কুমার সাহা’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ছুটিতে রয়েছে বলে তা সম্ভব হয়নি। এদিকে রেজিষ্ট্রার অফিস পাড়ায় প্রায়শই দালাল দৌরত্ব ও অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের যোগসাজেশে জাল দলিল করা সহ নানান দূর্নীতির বিস্তার অভিযোগ উঠে এসেছে সংবাদ অনুসন্ধানকালীন সময়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারীদের দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই নিয়ে কাজ করছে দৈনিক আজকের তালাশ পত্রিকার অনুসন্ধান মাধ্যম।