প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২২ , ৯:০২:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
জাতী-ধর্ম-বর্ণসহ সকল বিভেদ পিছনে ফেলে নিজের রক্ত দিয়ে অন্যকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অফ বরিশালের ব্লাড ডোনেশন ক্লাবের এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী ও যুবককর্মী। রক্তের প্রয়োজনে যে কেউ ফোন করলে তারা নিজেরাই রক্ত দিতে চলে যায় অথবা কাউকে রক্তদানে উৎসাহী করে রক্তের চাহিদা মিটিয়ে দেন। ২০২০ সালের ২৭ শে এপ্রিল বরিশালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রিন্স তালুকদার।
বর্তমানে এ সংগঠনের প্রধান সম্বনয়কের দায়িত্বপালন করছেন ডাঃ কবির মাহমুদ খান (রাজ)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অফ বরিশালের ব্লাড ডোনেশন ক্লাবের প্রায় সহস্রাধিক রক্তদাতা সদস্য রয়েছে। তারা বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। এ ছাড়াও ইয়ুথ অব বরিশালের প্রায় ২ শতাধিক ভলান্টিয়ার রয়েছে।
এর ডোনাররা কমপক্ষে ৫-৭ বার করে রক্তদান করেছেন। তারা শুধু রক্তদানই করছেন। তারা রক্তদানে বিভিন্ন জনকে উৎসাহীত ও বিনা পয়সায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ও করে দেন। সংগঠনের প্রধান সম্বনয়কের দায়িত্বপালন করছেন ডাঃ কবির মাহমুদ খান (রাজ) জানান, আমরা চাই আমাদের দেয়া রক্তে বেঁচে যাক মুমূর্ষু রোগীরা। তাদের এই বেঁচে যাওয়াই আমাদের প্রাণে প্রশান্তি জোগায়। তবে আমাদের মতো সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়াও কোনো প্রসূতি মায়ের জন্য রক্তদানের ক্ষেত্রে তার নিকটতম আত্মীয়দের এগিয়ে আসা উচিত। প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্স তালুকদার বলেন, কারো সন্তান প্রসবের অন্তত দুই মাস পূর্বে থেকে তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্য থেকে ওই গ্রুপের রক্ত খোঁজ করে বের করতে হবে। তাহলেই রক্তের অভাবে কারণে কোনো মায়ের আর মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে হবে না। সর্বোপরি রক্তদানের মতো এমন মহৎ কাজে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কেউ আর রক্তের জন্য মৃত্যুবরণ করবে না।