আবু সায়েম, বাউফল(পটু্য়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদীপ ইউপির চর ওয়াডেল গ্রামে গত ১৫ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে একটি আয়রন ব্রিজ। ব্রিজের পাকা স্লাব গুলো ভেঙে গেছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় স্থানীয়রা সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীসহ সহস্রাধিক মানুষ। ব্রিজ নির্মাণের জন্য কর্তা ব্যক্তিরা একাধিক বার পরির্দশন করলেও ব্রিজ নির্মাণ আর হয়নি।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজ নয়, একটি ব্রিজের অবয়ব দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজের সব স্লাব গুলো ভেঙে গেছে। নেই লোহার হাতলও। শুধু কয়েকটি খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসী ব্রিজের খুঁটির উপর গাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ- শিশুরা। এ যেনো দুর্ঘটনার আতুর ঘর। তাই স্থানীয়রা এ ব্রিজটির নাম দিয়েছে ‘কালের পোল’।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এই ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন, কেওর ভেঙ্গেছে হাত আবার কেওরবা আবার পা।
ব্রীজ থেকে পড়ে হাত ভেঙ্গে যাওয়া রুশিয়া বেগম বলেন “ব্রীজ থেকে পড়ে আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিলো,চিকিৎসা করাতে আমার প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি ছাড়াও আমাগো গ্রামের মোসা. হাসিনা বেগম (২৬), মোসা. ফিমা বেগম (৪০), মাদ্রাসা ছাত্র মো. সোহেল (১৬) এখান থেকে পড়ে গুরতর আহত হয়েছে”।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষার্থী মো. গাজী মনির বলেন “নদী বেষ্টিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। উপজেলার অন্যসব ইউয়িনের তুলনায় এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্রিজটির বেহাল দশা থেকে আমরা মুক্তি চাই। ব্রিজটি নির্মাণ আমাদের প্রাণের দাবি”।
এ বিষয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন,‘ ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বার আবেদন করেছি। তারা কয়েক বার পরির্দশনও করেছেন। কিন্তু অদৃশ্য কারনে ব্রিজটির নির্মাণ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারি প্রকৌশলী আলী ইবনে আব্বাস বলেন,‘ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি পরির্দশন করেছেন। সয়েল টেস্টও হয়েছে। দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।