প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৪ , ১১:৫৬:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চরআবদানিতে খাল পাড়ের স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযানে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উঠে এসেছে নানা অভিযোগ। এই খালটি কীর্তনখোলা নদীর সংযোগস্থলে পড়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালটির পাড়ের স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম ওরফে ইতালি শহীদ। কোন নোটিশ না দিয়ে ও সীমানা নির্ধারণ না করেই রাতের আধাঁরে খালপাড়ের স্থাপনা-সারি সারি গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে উচ্ছেদের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালেদ বিন অলীদের। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার (১ জুন) রাত ১০ টার দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, কোন নোটিশ না দিয়ে ও সীমানা নির্ধারণ না করেই রাতের আধাঁরে এস্কেভেটর দিয়ে খালপাড়ের স্থাপনা ও সারি সারি গাছ উপড়ে ফেলেছে সাব ঠিকাদার জসিম উদ্দিন জুয়েল। এই কাজের মূল ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম ওরফে ইতালি শহীদ। এরআগে তারা সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করে ঠিকাদার মৌখিক ভাবে বলে যান আগামীকাল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তরা গাছ ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে কিছু সময় চান। কিন্তু কিছু না বলেই সাব ঠিকাদার জুয়েল সেখান থেকে চলে যান। হঠাৎ রাত ১০ টার দিকে এস্কেভেটর দিয়ে খালপাড়ের স্থাপনা ও সারি সারি গাছ উপড়ে ফেলে। এমনকি খালের সীমানার বাইরের স্থাপনা ও গাছ উপরে ফেলেন।
আগের সীমানা ও শনিবার করা সীমানা নির্ধারনের মধ্যে কোনো মিল নেই। এছাড়াও তাদের কোন নোটিশ এবং সময় না দিয়ে ঠিকাদার গায়ের জোড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন- নোটিশ না দিয়ে ও সীমানা নির্ধারণ না করে তাদের বৈধ স্থাপনা ও সারি সারি গাছ আধাঁরে এস্কেভেটর দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তি মালিকানা জমির মাটি কেটে বিশাল গর্ত করেছে। গাছ ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে কিছু সময় চাইলেও দেয়া হয়নি। এতো তড়িঘড়ি করার কি দরকার ছিল?
তাদের অভিযোগ- এই কাজের জন্য অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। যারা টাকা দিয়েছেন তাদের স্থাপনা খালের সীমানার মধ্যে পরলেও তা উচ্ছেদ করা হয়নি। যারা টাকা দেয়নি তাদের স্থাপনা ও গাছ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম ওরফে ইতালি শহীদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। আর সাব ঠিকাদার জসিম উদ্দিন জুয়েলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালেদ বিন অলীদ বলেন- উচ্ছেদের বিষয়ে কিছুই জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।