প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২০ , ১২:৫২:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইজুল মুন্নাঃ
বরিশাল নগরীর বেশ কিছু বাজারে বিক্রি হচ্ছে মানুষখেকো পিরানহা। আকার আকৃতির সাদৃশ্য থাকায় ক্রেতাদের কাছে চান্দা মাছ বলে বিক্রি করার খবর পাওয়া গেছে । গতকাল নগরীর আমানতগঞ্জ ৬ নং ওয়ার্ড বেলতলা বাজারে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয়েছে এ মাছ। । এই রাক্ষুসে পিরানহা মাছ বিক্রি হচ্ছে এমন গোপনীয় তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ পৌঁছালেও মাছ পাওয়া যায়নি। অবশ্য প্রশাসনের উপস্থিতির আগেই বেচা-বিক্রি শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ। মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৩ ধারা (মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালার ১৬ নং বিধি) লঙ্ঘন করায় একই আইনের ৫(১) ধারা মোতাবেক বিক্রেতাকে ৫০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা নিতিমালা রয়েছে । ক্রেতা ও বিক্রেতার ভাষ্য মতে বাজারে দেশি চান্দা মাছ নামে বিক্রয় হচ্ছে ক্ষতিকারক ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ। উল্লেখ্য পিরানহা নামের মাছটি মূলত আমাজন নদীর একটি ভয়ঙ্কর মাছ। মানুষখেকো হিসেবেও এই মাছটি পৃথিবীতে পরিচিত। পিরানহা মাছটি প্রথম আফ্রিকায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। সে দেশে পিরানহা মাছ উৎপাদন হওয়ার পর মাছটির ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে জানা গেছে, মাছটি মানুষের খাবার উপযোগী নয়, এটি বিষাক্ত মাছ। একপর্যায়ে এই মাছ বাংলাদেশে চলে আসে। পিরানহা মাছ খেলে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে কিডনী ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ অকেজো হয়ে পড়ে। এসব মাছ রান্না করলে অত্যাধিক তাপে বিষের উপাদান এক অবস্হা থেকে অন্য অবস্হায় রূপান্তর হতে পারে। কিন্তু এতে বিষ খুব একটা তারতম্য হয় না। যারা মনে করেন রান্না করলে বিষ নষ্ট হয়ে যায় তা নিতান্ত ভুল ধারণা। এসব মাছ খেলে সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বড় বড় দাঁত বিশিষ্ট পিরানহা মাছ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় ২০০৭ সালে এ মাছ সংরক্ষণ, বিপনন, প্রজনন ও প্রদর্শণ বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশে এই মাছ কিভাবে পৌছালো কারা বাজার জাত করছে তাদের লাগাম না টেনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের ক্ষতি করাটা কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্ন জনসাধারণের ।