তালাশ ডেস্ক: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের বাসার কাছেই ড্রেন দখল করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ রয়েছে।বিগত কয়ক বছরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হলেও অদৃশ্য কারনে নেয়া হচ্ছে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সদর গালর্স স্কুল) এর পশ্চিম পার্শে পেশকার বাড়ির মধ্যে বিসিসি’র ড্রেন বন্ধ করে তার উপর পাকা স্থাপনা নির্মান করেছে বাবুল শেরওয়ানি নামের এক ব্যক্তি।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি’র) ৫ ফুট চওড়া ড্রেনের পানি প্রবাহ বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মানের ফলে বছর জুড়েই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে মেয়র বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ করেছে। কিন্তু বিসিসি কতৃক সরেজমিন তদন্ত করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিসিসি’র ড্রেন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে জমির উপর পাকা স্থাপনা নির্মান করে ভাড়া দিয়েছে অভিযুক্ত বাবুর নামের ব্যক্তি।ড্রেনের মূখ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মান করার ফলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ময়লা আবর্জনার স্তূপ হয়ে দূর্গনধের পাশাপাশি মশা মাছি সহ নোংরা পানি জমে মশা বৃদ্ধি পেয়ে নানান রোগ ব্যধী ছড়াচ্ছে।ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বৃদ্ধ থেকে শিশু বাচ্চা সহ এলাকাবাসী। বর্ষার সময় কিংবা সামান্য বৃষ্টি বা জোয়ারের পানিতে পেশকার বাড়ির এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।এতে করে বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বছরের প্রায় সময়েই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী জানায়,সাবেক মেয়রের সাথে সম্পর্ক থাকায় এবং ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারনে সিটি কর্পোরেশন জমি এবং ড্রেন বন্ধ করে দখল করে ভবন নির্মাণ করেছে বাবুল শেরওয়ানি। এ বিষয়ে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ বিসিসিতে দিলেও সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করছে না ফলে ভোগান্তি এলাকাবাসীর নিত্য দিনেন সঙ্গী হয়েগেছে।এমতাবস্থায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আকুতি জানায় এলাকাবাসী। বর্তমান পরিষদের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করার পর দুই বার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুরহা পায়নি ভোগান্তিতে থাকা এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ কাশিয়ানীকে অভিযোগ দাখিলের পর একাধিক বার কল করে অবহিত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিসিসি কতৃপক্ষ।এ বিষয়ে বিসিসি’র রোড ইন্সপেক্টর (আর আই) বলেন তিনি লিখিত অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়ায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য চিঠি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এখনো অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কেন করা হচ্ছে না সেবিষয়ে জানাতে পারে নি তিনি।
এ বিষয়ে বিসিসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানায় তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন দখল মূক্ত করা হয়নি কেন তা খতিয়ে দেখছেন৷