প্রতিনিধি ১৪ অক্টোবর ২০১৯ , ৩:৪৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের বিট অফিসারের হয়রানীর শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ক্ষুদ্র মাটি ব্যবসায়ী এক যুবক।
উপজেলার মহিষমারা বিট অফিসার মো.মামুনুর রশিদ খানকে মোটাঅংকের মাসোয়ারা না দেয়ায় মাটি বোঝাইকৃত হাইড্রলিক গাড়ী আটকিয়ে দুই দফায় ৩৬ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ করেনে ভূক্তভোগি ওই ব্যবসায়ী। এত টাকা দেয়ার পরও রেকর্ডকৃত জমির বৈধ মাটি না কাটতে পেরে বউ-বাচ্চা নিয়ে অর্ধাহারে দিন কাটা”েছন উপজেলার মহিষমারা (বেচুরিয়াঘুনী) গ্রামের ক্ষুদ্র মাটি ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক মাস আগে মহিষমারা বিটে যোগদান করেন বিট অফিসার মো.মামুনুর রশিদ খান। যোগদানের পর থেকেই করাতকল মালিক,কাঠ ব্যবসায়ী,মাটি ব্যবসায়ী এবং বনের জমিতে যাদের বাড়ী বা গাছ রয়েছে তাদের নিকট থেকে মোটাঅংকের মাসোয়ারা আদায় করতে থাকেন। কিš‘ ক্ষুদ্র মাটি ব্যসায়ী আ.রহমানকে বারবার ডাকা হলেও অফিসে গিয়ে মাসোয়ারা না দিয়ে আসায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর মহিষমারা (বেচুরিয়াঘুনী) মৌজায় আব্দুল জুব্বার ও কালাম মেম্বারের রেকর্ডকৃত জমিতে (খতিয়ান নং ৩৯৮০ এবং দাগ নং ৫৫১) মাটি কাটার পর রাস্তা থেকে মাটি বোঝাইকৃত হাইড্রলিক গাড়ী আটকিয়ে মো.আ.রহমান নিকট থেকে বিট অফিসার কালাম মেম্বার ও কাদের ডাক্তাররের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। এর কয়েকদিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর খোরশেদের জমিতে মাটিকাটার সময় দেলোয়ার মেম্বারের মাধ্যমে আরও ১৬ হাজার টাকা আদায় করেন।
মাটি ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান জানান,বড় মাটি ব্যবসায়ী কিতাব আলী,আলতাব আলী,হযরত আলী,মামুন ও র“বেলের যোগসাজশে বিট অফিসার আমাকে হয়রানী করছেন। এদের মধ্যে হযরত আলী বিট অফিসে সার্বক্ষণিক দালালী করেন।
জমির মালিক আলহাজ আব্দুল জুব্বার জানান,বিট অফিসার তাকে (রহমানকে) বাবার দেখা করতে বলেন,কিন্তু‘ সে দেখা করেন না। বিট অফিসার আমাকে বলেছেন সে আপনার বৈধ জমির মাটি কেটে বনের খাস জমির উপর ফেলে।
স্থানীয় মাতাব্বার মো.আবু জাফর জানান, রহমানের গাড়ী ছাড়ানোর জন্য বিট অফিসে গিয়েছিলাম,টাকা না নিয়ে গাড়ী ছাড়ল না।
স্থানীয় ইউ.পি সদস্য মো.দেলোযার হোসেন জানান,আমি তো মাটির ব্যবসা বুঝি না, তবে রহমানের কাছ থেকে এভাবে টাকা-পয়সা নেয়া হয়েছে।
গাড়ী আটকিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বিট অফিসার মো.মামুনুর রশিদ খান জানান,সে আমার সাথে দেখা করেনি। তাছাড়া ৩৬ হাজার টাকা নয়,কিছু কম নিয়েছি,তাও আমার হাত দিয়ে নেইনি।