প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২১ , ১০:০০:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বরিশাল জেলার তিন উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মৃধা মুহঃ আক্তার-উজ-জামান মিলন।
তিনি ৬৪৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেন পেয়েছেন ৩৯৩৩ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সরোয়ার মাহমুদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২০২৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী মোঃ আব্দুল হাকিম হাতপাখা প্রতিকে পেয়েছেন ১৩৭৫ ভোট, এবং ঘোড়া প্রতিকে মোস্তফা কামাল শিকদার পেয়েছেন ৫৭৫ ভোট। রহমতপুর ইউনিয়নে মোট ২১ হাজার ৫৫৩ ভোটারের ১৪ হাজার ৩৯৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এরমধ্যে ৩৯টি ভোট বাতিল হয়েছে। এদিকে সকাল থেকে শুরু হওয়া রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে থেকে ৭ বহিরাগত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আল আমিন নামে এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা শাখা) ফরহাদ সরদার জানান, রহমতপুর ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সিংহেরকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও রাজগুরু প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও তার আশপাশ থেকে ৬ বহিরাগত যুবককে আটক করা হয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানান, তাদের তিনজনের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলায়।
অন্য তিনজনের বাড়ি মুলাদী উপজেলায়। রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুহা. আকতার উজ্জামান মিলন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী মো. জীলানির পক্ষে কাজ করতে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে। তারা দুই দিন ধরে রহমতপুর এলাকায় অবস্থান করছেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার বলেন, তাদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। তারা নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন। তাদের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা ছিল।
এ কারণে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।তাদেরকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে কেন্দ্রের আশপাশে ঘোরানো হয় এবং কেন্দ্রের সামনেই আটক করে রাখা হয়। তাদের দেখে অন্য কেউ যেন অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করারও সাহস না করে সেজন্য তাদেরকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রের সামনেই রাখা হবে।ভোট শেষে উপরস্থ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।