প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০১৯ , ২:০৮:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস :-
বরিশালের বাবুগঞ্জ বন্দরের মধুবন বেকারি দোকানের চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ৩ ভূয়া সাংবাদিককে গণধৌলাই দিয়ে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোর্পাদ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজারে।
আটকরা হলো উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর এলাকার ফজলুল হকের পুত্র এম জামাল হোসেন (৩০) মেহেন্দিগঞ্জ উলানিয়া এলাকার ইউসুফ আলীর পুত্র আঃ জব্বার তালুকদার (৩২) আগৈলঝাড়া উপজেলার সুজনকাঠী এলাকার শহিদ মোল্লার পুত্র আজিজুল মোল্লা (৩৪)।
বাবুগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাবুগঞ্জ বন্দরের মধুবন বেকারি দোকানে ৩ সাংবাদিক হাজির হয়ে তারা ক্রাইম রিপোর্টাস, এমটিবি ও বাংলা টিবি পরিচয়ে বিস্কুট, রুটি, কেক পরীক্ষা ও লাইসেন্স দেখতে চায় এবং ১০হাজার টাকার চাঁদা দাবি করেন। এসময় বেকারির মালিক মোঃ ফিরোজ হাওলাদারের সন্দেহ হলে বাজার কমিটির লোকজন ডেকে আনেন। বাজারের লোকজন বেকারি দোকানে ছুটে আসলে ওই ৩জন ভূয়া সাংবাদিক শটকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাজারের লোকজন তাদেরকে ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পাদ করেছেন।
বাবুগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর ক্রাইম রিপোটার্স পরিচয় দিয়ে বেকারি দোকানে চাঁদা দাবি করায় ২ভূয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে সোর্পাদ করা হয়েছিল। বাবুগঞ্জে ভূয়া সাংবাদিক আটককের সংবাদ পেয়ে বহুলোক ছুটে আসেন থানায় ওই চক্রটিকে দেখতে।
এসময় রহমতপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জামাল হোসেন পুতুল ওসিকে জানান, গতকাল শুক্রবার বিকালে এম জামালসহ ওই চক্রটি তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে তারা এমটিবি, বাংলা টিবি পরিচয় দিয়ে তার কাছে সংবাদ সংক্রান্তের ঘটনায় ৫হাজার টাকার চাঁদা দাবি করেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, বাবুগঞ্জ বাজারে মধুবন বেকারির মালিক রফিকের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় স্থানীয় তাদের গনধোলাই দিয়ে থানায় ফোন করলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এব্যাপারে বেকারি দোকানের মালিক ফিরোজ হাওলাদার বাদী হয়ে ৩ ভূয়া সাংবাদিককে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।