প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২০ , ১০:৩১:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
ইলিয়াস শেখ কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥
মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ৪জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটার লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা এ এলাকায় ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আবু হানিফ হাওলাদার (৫৫), মোসাঃ রাবেয়া বেগম (৪৫), মোঃ মোস্তফা হাওলাদার, মোসাঃ নুরজাহান বেগম (৭০)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এনিয়ে মহিপুর থানায় আল-আমিন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে মনোনীত সালিশগণ বিরোধীয় জমি সরেজমিনে পরিমাপ পূর্বক সঠিক ফয়সালা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সালিশগণ জমি পরিমাপ করতে না পেরে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক চৌকিদার ইউনুস হাওলারকে বিরোধীয় জমি চাষাবাদের দায়িত্ব দেন। মঙ্গলবার সকালে সালিশগণের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় বিএনপি নেতা আলী আক্কাস গংরা ওই জমি চাষাবাদ করতে নামলে আল-আমিন গংরা বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। এতে আল-আমিন হাওলাদারের পিতা আবু হানিফ হাওলাদার, মাতা মোসাঃ রাবেয়া বেগম, চাচা মোঃ মোস্তফা হাওলাদার এবং আলী আক্কাস হাওলাদারের মাতা মোসাঃ নুরজাহান বেগম আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু হানিফ হাওলাদার ও মোসাঃ রাবেয়া বেগমকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং মোসাঃ নুরজাহান বেগমকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
আল-আমিন হাওলাদার বলেন, সালিশগণের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিরোধীয় জমি চাষাবাদ করতে গেলে আমরা বাধা দিলে বিএনপি নেতা আলী আক্কাস বাহিনি আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমার পিতা, মাতা ও চাচা আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিএনপি নেতা আলী আক্কাস হাওলাদার বলেন, আমার জমি চাষাবাদ করতে গেলে আল-আমিন গংরা বাধা দিলে মারামারি হয়। এতে আমার মাতা আহত হয়েছেন, বর্তমানে তিনি কলাপাড়া হাসপাতালে আছেন।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।