জাতীয়

মৃত্যুর ৩ বছর পরে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ

  প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২৩ , ৯:৪৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ ডেস্ক॥ গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের হরতালের দিন গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পুলিশের ওপর ককটেল ছোড়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে ২২ জনকে, যার মধ্যে ১৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে আমিন উদ্দিন মোল্লাকে। স্বজন ও বিএনপি নেতারা বলছেন, আমিন উদ্দিন মোল্লা পৌনে তিন বছর আগে মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিকেই পুলিশ আসামি করেছে। গত ২৯ অক্টোবর কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

এ মামলার অন্যতম আসামি আমিন উদ্দিন মোল্লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার খিরাটি এলাকার মৃত আশরাফ আলী মোল্লার ছেলে। স্বজন ও এলাকাবাসী বলছেন, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি মারা যান আমিন উদ্দিন মোল্লা। তিনি নরসিংদীতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও মেডিকেল মোড় এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বেআইনি জনতাবদ্ধে রাস্তা অবরোধ করে। পরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে খুন-জখমের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য হেফাজতে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত চারটি ও বিস্ফোরিত একটি ককটেল এবং চারটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার ২২ আসামির মধ্যে ১৮ নম্বর আসামি আমিন উদ্দিন মোল্লার বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে আমিন উদ্দিন মোল্লার জামাতা মো. মোজাম্মেল হক জানান, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি তার শ্বশুর মারা যান। মারা যাওয়ার দুই বছর নয় মাস পর তার শ্বশুরকে নাশকতার মামলায় আসামি করা হয়েছে।

 

গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে। রাতে বাড়িতে অভিযান চালায় এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

 

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী কাপাসিয়া থানার এসআই সালাউদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোনো বিবৃতি দিতে পারবো না। আমার নিষেধ আছে।

 

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর মিয়াকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তার সাড়া মেলেনি।

 

জানতে চাইলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে? বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content