Uncategorized

নীলফামারীতে গোড়গ্রামে ত্রাণের দাবিতে কর্মহীন অসহায় মানুষের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

  প্রতিনিধি ২৫ এপ্রিল ২০২০ , ৫:১৫:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

আব্দুল মোমিন, নীলফামারীঃ

নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নে ত্রানের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কর্মহীন হয়ে পড়া, অসহায় ও দুস্থ্য মানুষেরা।

অতিদ্রুত ত্রাণ সামগ্রী তাদের মাঝে বিতরণের দাবিতে আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) ৩ ঘণ্টাব্যাপী বড়াইবাড়ীতে নীলফামারী থেকে নীলসাগর যাওয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উক্ত কর্মহীন হয়ে পড়া, অসহায় ও দুস্থ্য মানুষেরা।

সরেজমিনে গেলে জানা যায় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত
বড়াইবাড়ীতে নীলফামারী থেকে নীলসাগর যাওয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা।

নীলফামারীর সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের তিন শতাধিক এর উর্ধে মানুষ অবরোধে অংশ নেয়। এতে সড়কের উভয় দিকে ওষুধবাহী, পণ্যবাহী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অরোধ করে রাখা হয়। অবিলম্বে ত্রাণ বিতরণের দাবি জানিয়ে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে কর্মহীন হয়ে পড়া, অসহায় ও দুস্থ্য মানুষেরা।

রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে ১২.২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় উপজেলা সহকারী কমিশোনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বেলায়েত হোসেন। তিনি তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে ত্রাণ বিতরণের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।

এদিকে ১ টার সময় খবর পেয়ে নীলফামারীর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শাহিদ মাহমুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তিনি কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করে ত্রান দিবে মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এসময় নাম প্রকাশে একজন ব্যক্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহিদ মাহমুদকে বলেন, গোড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম যদি এ প্রতিশ্রুতি আগে দিত তাহলে আমরা এতক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতাম না হয়। তিনি এসেই বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এছাড়াও উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা বলেন যে কোন কাজ করতে গেলে টাকা ছাড়া কাজ করে না।
গোড়গ্রাম ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরফীন ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অামাদের দিকে কোন নজর নেই গোড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম। তিনি তাদের এলাকায় ত্রান দিলেও ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে তেমন ত্রাণ দেয় নাই। বাধ্য হয়ে আমরা আজ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছি। আমরা রাজনীতি করি, আমাদের কাছে ২/৪জন আসে তাদের কথা চেয়ারম্যানকে বললে কোন ত্রাণ দেন নাই। এছাড়াও তিনি বলেন, আজকে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় আমাদের বিভিন্ন ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছে।

গোড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন যে ত্রাণ এসেছে তা আমি সুষ্ঠু ভাবে বন্টন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যে ২০০০ হাজার তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা যদি এতদিন দেওয়া হতো তাহলে আজ রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করতো না এলাকাবাসী।