প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০১৯ , ২:১৯:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ শহরের গুরুত্বপুর্ন ১০টি স্পটে লাগানো সিসি ক্যামেরাগুলো দুই বছরে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। শহর ঘুরে দেখো গেছে, কোন কোন স্থান থেকে গায়েব হয়ে গেছে ক্যামেরা। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মরিচা আর ময়লা জমে আচে ক্যামেরা ও তারে। জানা গেছে, ২০১৭ সালে পুলিশ প্রশাসনের উদ্দ্যোগে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। শহরের ১০টি স্পটে বসানো হয় ১২৮টি সিসি ক্যামেরা। এতে ঠিকাদারের ব্যয় হয় ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু তাকে ঝিনাইদহ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হয় ৯ লাখ টাকা। বাকি টাকা ঠিকাদার পাননি। ঠিকাদার জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি এখনো ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাবেন। অনেকবার ঘুরে ঘুরে এখন আর টাকা চান না। ঠিকাদারের দেওয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহ শহরের পায়রাচত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, স্বর্নকার পট্রি, শিল্পকলা এলাকা নিয়ে একটি স্পট তৈরী করা হয়। এখানে ৩২টি ক্যামেরা স্থপান করা হয়েছিল। ক্যামেরাগুলো কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের। সদর থানার গেট থেকে উজির আলী স্কুল পর্যন্ত স্থপন করা হয় ১৬টি ক্যামেরা। এগুলো কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল ঝিনাইদহ সদর সার্কেল (পুলিশ) অফিসের। কলাবাগান পাড়া থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত বসানো হয় ১৬টি ক্যামেরা। কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদকের বাসা থেকে। ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় বসানো হয় ৮টি সিসি ক্যামেরা। কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল বাস মালিক সমিতি। আরাপপুর এলাকার ১২টি সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল রাহেলা প্রসাধনীর মুক্তার আহম্মেদের। ক্যাসেল ব্রীজ এলাকার ৬টি ক্যামেরার কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর বাসা থেকে। ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে হাটখোলা রোডের ১৬টি ক্যামেরা কন্ট্রোলের দায়িত্ব ছিল রংধনু প্লাজার আব্দুল আওয়ালের। এ ভাবে ১০টি স্পটে ১২৮টি ক্যামেরা বসানো হয়। অভিযোগ উঠেছে ক্যামেরা গুলো পুরানো মডেলের হওয়ায় বেশি দিন টেকেনি। তবে ক্যামরা বসানোর পর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছিল। শহরের কয়েকটি দোকানে চুরির ঘটনা উদঘাটনও হয়েছিল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে। তারপর ক্যামেরা গুলো অচল হয়ে পড়তে থাকে। তবে বেশির ভাগ ক্যামেরা লাইট পোস্ট থেকে চুরি হয়ে গেছে। ঝিনাইদহ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মন্টু বলেন, আমার ধারণা টাকা না পেয়ে ঠিকাদার জাহিদুল নিজেই ক্যামেরাগুলো খুলে নিয়ে গেছে। তিনি ব্যাবসায়ী ও শহরবাসীর স্বার্থে সিসি ক্যামেরা প্রকল্পটি ভেস্তে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ঠিকাদার তামিম কম্পিউটারের সত্বাধীকারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমে কেন ক্যামেরা খুলে নেব। লাগিয়ে দেওয়ার পর সেগুলো তো রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পুলিশ ও মালিক সমিতির ছিল। ঝিনাইদহ পৌর সভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, শহরের পায়রা চত্তরের ৪টি ক্যামেরা চালু আছে। বাকি ক্যামেরা গুলো অচল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্ষার পর নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, আগে বসানো ক্যামেরা গুলো ছিল ব্যাক ডেটেড। শহর জুড়ে নতুন মডেলের ক্যামরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।