প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ৬:২১:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :- বরিশালের কাজীরহাট থানাধীন লতা ইউনিয়নের আসলী সন্তোষপুর গ্রামে শুক্রবার ২৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পল্লী বিদুৎতের খাম্বা বসানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার আলতাফ চৌকিদার (৪৮) নামে এক ব্যাক্তির খুন হয়েছে।
নিহতর স্ত্রী হাওয়ানুর বেগম জানায়, আমার স্বামীর সাথে কাহারো সাথে কোন দন্ড ছিলোনা। সকালে জানতে পাই আমার স্বামীকে মারধর করে তার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়ার পথে মিয়ারহাট বাজারে পৌছালেই তার মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ কাজীরহাট থানায় আমরাই নিয়ে যাই। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিদর্শন করেন। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশ।
নিহতর স্ত্রী আরো বলেন, আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করলে রক্তপাত ঘটে। ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কালাম খানেঁর নেতৃত্বে এই হামলা চালায় সহিদ খলিফা, সেন্টু সরদার, জামাল মের্দ্দা, শাহাবুদ্দিন সরদার , মাইনুদ্দিন সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী। লতা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানায়, সোহেল পল্লী বিদুৎতের লাইন সংযোগ নিবে এ নিয়ে একটি খাম্বা বসানো হবে বাধা দেয় জলিল সরদারের ছেলে সেন্টু সরদার।
এ নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে তাদের মধ্যে। ঐ বিদুৎতের কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়ার আমাকে ফোন করে জানায়, খাম্বা নিয়ে ঝামেলা চলছে কয়েকদিন যাবৎ আপনি জনপ্রতিনিধি হিসাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে সমাধান করে দিয়ে আসেন। কথা অনুযায়ী চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নেহাল সাথে নিয়ে গেছে নিহত আলতাফ চৌািকদারকে। ঘটনা স্থলে দেখতে পায় সোহেল ও সেন্টু সরদারের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলছে পরে আলতাফ চৌকিদার সেন্টুকে অনুরোধ করে বিদুৎতের খাম্বা বসানোর বিষয়। এক পর্যায় বড় আকার ধারন করলে ঘটনা স্থলে আলতাফ চৌকিদারের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ইউপি সদস্য কালাম খানের সন্ত্রাসী বাহিনী।
তিনি আরো জানায়, কালাম খান নেতৃত্ব না দিলে এ ঘটনা ঘটে না। কাজীরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেনর সাথে আলাপ করলে তিনি জানায়, নিহতর স্ত্রী হাওয়ানুর বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলার দায়ের করবেন বলে প্রস্তুতি চলছে। নিহতর লাশটি ময়না তদন্তর জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন হয়েছে।