প্রতিনিধি ৪ মে ২০২১ , ৮:২৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যেই জীবন কাটাত হয় প্রতিবন্ধী ইব্রাহিম খলিলের (৩৯)।তিনি উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন বড় গাবুয়া গ্রাম ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত. আব্দুল জলিল চৌকিদার এর ছেলে।
ইব্রাহিম ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা কেরানীগঞ্জে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের ভয়াল থাবায় হারিয়ে ফেলেছেন তার দুটি হাত। হারিয়েছেন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অর্থ উপার্জনের সক্ষমতা। জীবন ও জীবিকার জন্য যুদ্ধ সংগ্রামে দীর্ঘ ১১টি বছর অতিবাহিত করে আজ তিনি বড়ই ক্লান্ত। আজ থেকে দীর্ঘ ১১ বছর আগে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা তাকে প্রতি মুহূর্তে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। বর্তমানে তার রয়েছে ২টি কন্যা সন্তান। যার একজনের বয়স ৯ এবং অপরজনের বয়স দেড় বছর। নিজে কোন কাজ করতে না পারায় সংসারে অভাব অনাটন লেগেই থাকে। স্ত্রী ও মেয়ে দুটোর ভরণ পোষণও দিতে পারছেন না ঠিকমত। স্ত্রীকে করতে হয় পরের বাড়িতে ঝিঁ-এর কাজ। ইব্রাহিমের বেকারত্ব ও পঙ্গুত্ব জীবন দুটো একসাথে মিলে মিশে একাকার। ইব্রাহিম সরকারি ভাবে শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা হিসেবে মাসে ৭৫০ টাকা পান। এর বাইরে জুটছে না আর কোন সাহায্য। সমাজের কোন বিত্তবান লোকেরাও বাড়িয়ে দেননি তার প্রতি সাহায্যের হাত। তাই আজ তিনি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য চান একটু সরকারি সাহায্য। যা দিয়ে অন্তত স্ত্রী সন্তানদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারেন।
অংঙ্গহীন ইব্রাহিম বলেন, “ভাই মোর জীবনডা শ্যাষ হইয়া গ্যাছে। বিদ্যুৎ আমার ব্যাভাক শ্যাষ কইরা দেছে। এহোনও অনেক সময় মাইয়া দুইডা ও বউ লইয়া না খাইয়াও থাকতে হয়। আমি আমাগো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ্যাকটু সাহায্য চাই। হুনছি হে বোলে প্রতিবন্ধীগো লোইগ্যা ব্যামালা কিছু করে, হে যদি মোরে একটু সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা কইরা দেয় হ্যালে মুই বউ আর মাইয়া দুইডা লইয়া কোন রহম খাইয়া লইয়া বাঁচতে পারি”।