প্রতিনিধি ১১ মে ২০২০ , ৬:০২:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক ।।
বানারীপাড়ায় জমিসংক্রান্ত পূর্ব-বিরোধের জের ধরে ছোট চাচা আকতার হোসেনের নেতৃত্বে বরিশাল বিআইডব্লিউটি এর সহকারী পরিচালক মো.রিয়াদ হোসেন টুটুল ও তার স্ত্রী সহ শিশু পুত্র এবং বৃদ্ধা মায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের বাড়িতে ছোট তার ছোট চাচা আকতার হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলায় রিয়াদ হোসেন টুটুলকে গুরুতর জখম করা হয়। এসময় তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা তার স্ত্রী রুবাইদা ইসলাম দোলন (৩৬), শিশু পুত্র জাহিদ হোসেন (১২) ও বৃদ্ধা মা মেহেরুন নেছা বেগম (৬০)কেও আহত করা হয়।
গুরুতর আহত স্বামীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পাশাপাশি ওই ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য তার স্ত্রী রুবাইদা ইসলাম দোলন ও শিশু পুত্র জাহিদ হোসেন বের হলে পুনরায় তাদের ওপর হামলা করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো.রিয়াদ হোসেন টুটুল জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছোট চাচা মো.আকতার হোসেনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন লোক তার বসত ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে তার ওপর এ্যালোপাথারী ভাবে হামলা শুরু করে। এসময় তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা তার স্ত্রী রুবাইদা ইসলাম দোলন, শিশু পুত্র জাহিদ হোসেন ও বৃদ্ধা মা মেহেরুননেছা বেগমকেও তারা মারধর করে।
এসময় তারা রিয়াদ হোসেন টুটুলকে(৪২) ইট দিয়ে মাথায় অজ্ঞাত করার পাশাপাশি তার মুখে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় রিয়াদ হোসেনকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসা স্ত্রী রুবাইদা ইসলাম দোলন ও শিশু পুত্র জাহিদ হোসেন এবং তার বৃদ্ধা মা মেহেরুন নেছা বেগমকে মারধর করে। গুরুতর আহত রিয়াদ হোসেনকে নিয়ে তার স্ত্রী রুবাইদা ইসলাম দোলন ও শিশু পুত্র জাহিদ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পাশাপাশি ওই ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য বের হলে পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদের সামনের সড়কে তাদের গতিরোধ করে তারা তাদের ওপর পুনরায় হামলা করে।
এসময় তাদের ডাক-চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো.মশিউর রহমান কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি রিয়াদ হোসেন টুটুলকে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় রিয়াদ হোসেন টুটুলের স্ত্রী রুবাইদা ইসলাম দোলন বাদী হয়ে ৫ জনকে নামীয় ও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।