প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২০ , ৬:১৪:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
রকিব উদ্দিন পিয়াল ॥
নিজ সুরক্ষা অংশ হিসেবে অঘোষিত লকডাউনে যাচ্ছে বরিশাল। ইতিমধ্যেই কর্মস্থল বন্ধের কারনে দেশের বাড়িতে ফিরছেন লক্ষাধিক কর্মজীবি মানুষ। যার পরিপেক্ষিতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশংকা প্রকাশ করছেন সাধারণ জনগণসহ স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি চলমান মরণব্যাধি করোনার সংক্রমন এড়াতে দেশের বিভিন্ন সেক্টর ক্রমান্বয়ে লকডাউন করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সরকার। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ অবধি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা দেয়া হয় ।
তবে ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ এড়াতে সরকারিভাবে পর্যায়নুক্রমে সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তর ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করা হয়েছে সড়ক পথ, যাত্রীবাহি নৌযান চলাচলেও ।
এমতবস্থায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে খুব বেশি সময় নেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা। দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আগেই যাতায়াতের মাধ্যমে ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ মানুষ ঘরমুখী হয়েছেন। সেক্ষেত্রে দূর পাল্লার যাত্রীদের উপর বিশেষ নজরদারি রাখা উচিত ছিল বলে মনে করছেন তারা।
সাধারণ এই ছুটিকে কেন্দ্র করে কর্মস্থল ত্যাগ করে দেশের বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে যাতায়াতের মাধ্যম গুলোতে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে ফেরার জন্য অন্যতম মাধ্যম লঞ্চ ও সড়ক পথ ব্যবহার করে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ।
যার পরিপেক্ষিতে করোনা ভাইরাস বিস্তারের বিষয়ে এমন অবাধ যাতায়াতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বরিশালবাসী। যদিও বরিশাল জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন করোনা প্রতিরোধে নানান প্রচার-প্রচরণা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু এমন যাতায়াতের বিষয়টি এক সময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।