প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২০ , ১১:১৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হঠাৎ করেই বরিশালে বন্যা পরিস্থিতির অবনতী হয়েছে। মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, ফসলি জমি সহ সবকিছু। ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে হঠাৎ করেই বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় এখনও কোন সরকারি সহায়তা পাননি পানিবন্দী দূর্গত মানুষ।
সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, বন্যার পানিতে ডুবে গেছে স্থানীয়দের শেষ সম্বলটুকু। কোনমতে ঘরের টিনের চালে, কেউবা মাচা তৈরী করে ঘুপটি মেরে তার ভেতরেই বসে আছে। পানিতে সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায়, রান্না করতে না পেরে অনেকেই শুকনা খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন। কেউবা নৌকার উপর পেতেছেন ঘর।
বন্যার কারনে গৃহস্থালি পশু/পাখি ও হাঁস/মুরগী নিয়ে বিপদে পরছেন স্থানীয়রা। তারা নিজেরা বাঁচবেন না তাদের বাঁচাবেন তাই নিয়ে সংকা তৈরী হয়েছে। অবলা প্রাণীদের নিয়ে কষ্টের সীমা নেই দূর্গত মানুষদের। গোল খাদ্যের অভাবে বেকায়দায় পড়েছেন গৃহস্থেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বকর জানান, করোনার পরে বন্যা এরপর বাবারও বন্যা আমাদের জন্য মরার উপর পড়ার ঘাঁ। পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। টিউবয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি খেতে পারছি না। এছাড়াও নদী কাছে হওয়ায় পানির প্রচন্ড স্রোত রয়েছে জানিনা কখন কি ঘটে। সরকারি কোন সহায়তা এখনও আমরা পাইনি,তবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাদের এসে দেখে গেছেন।পাশাপাশি আস্বস্থ করে গেছেন সর্বাত্বক সহযোগিতার।
সফিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা হিমু মুন্সি জানান, করোনার সময় সর্বো শক্তি নিয়োগ করে কাজ করে গেছি। এরপর বন্যার সময়ও সরকারি সহায়তা সঠিকভাবে দিন রাত পরিশ্রম করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। পরবর্তীতে সারাদেশের মতো শফিকুল ইউনিয়নেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। প্রাথমিকভাবে নিজ উদ্যোগে বানভাসি মানুষদের কিছু সাহায্য সহযোগিতা করেছি। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা করতে পারছিনা। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্বমহলে বার্তা পাঠিয়েছি আশা করছি খুব দ্রুতই সরকারি ত্রাণ এসে পৌছবে।