প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৭:১৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বৈশাখী মেলায় অনুমোদনবিহীন ‘র্যাফেল ড্র’ নামেরলটারি বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈশাখ উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী উপজেলার সরকারী কলেজ মাঠে বৈশাখীমেলার আয়োজন করা হয়। শেষ দিন রাত ১০টা ৩১ মিনিটে ‘র্যাফেল ড্র’র পুরস্কার বিতরণ করা হবে। এ নিয়েসচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলায় প্রবেশ টিকিটের নামে এ লটারি চালু করা হলেও মেলায় প্রবেশে কোন টিকিট নেয়া হয়না। ‘র্যাফেল ড্র’ পুরস্কারের লোভনীয় অফারে দিনের প্রথমভাগ শুরু হতে না হতেই লটারি! লটারি! লটারি বলেইমাইকিং করে অনুমোদনবিহীন লটারি বিক্রির ধুম পড়েছে অভ্যন্তরিণ সড়কে। প্রচারের জন্য নিয়োজিত রয়েছে বেশকয়েকটি সিএনজি ও রিকশা। সেই সিএনজি ও রিকশায় করে উপজেলার প্রতিটি প্রান্তে ঘুড়ে ঘুড়ে টিকিট বিক্রিকরছে। অটোরিকশার পিছনে ব্যানার লাগিয়ে মেলা কমিটির পরিচালনায় ‘র্যাফেল ড্র’ নামে চলছেঅনুমোদনবিহীন লটারি ব্যবসা। আর অনুমোদনবিহীন লটারির টিকিট বিক্রি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেলক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি। মোটা অংকের অর্থ পুরস্কারের লোভে এ লটারির টিকিট কিনেপ্রতারিত হচ্ছে স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী ও নিম্নআয়ের মানুষ। এ র্যাফেল ড্র’র টিকেট কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকারসাধারণ মানুষও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই অবৈধ লটারি বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধারাণ মানুষ থেকে।এ লটারিতে মোটর সাইকেল, ফ্রিজসহ সর্বমোট ৩১টি পুরুষ্কার ঘোষনা করছে। এ পুরস্কারের আশায় লটারি কেটেসর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার সাধারণ ও নিন্ম আয়ের মানুষ।
এদিকে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় ২০ টাকা মূল্যের এ লটারির টিকেট বিক্রি। বিভিন্ন এলাকার সড়কজুড়ে ওপাড়া–গায়ের অলিতে গলিতে ভ্যান দিয়ে লোভনীয় মাইকিংয়ের মাধ্যমে দিনভর বিক্রি করছে এ সর্বনাশা লটারিরটিকেট।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকজন জানান, এ লটারিকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য অচলপ্রায়। সবাই লটারি পাওয়ার আশায় টিকেট কেনায় ব্যাস্ত, রাত হলে যাচ্ছে মেলার মাঠে। তাই বর্তমানে আমাদেরব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লটারির টিকেট বিক্রেতাকে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হয়তো প্রশাসনের অনুমোদন নাই। তবে মেলা কমিটির লোকজন কিভাবে চালায় তা আমার জানা নেই।
এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন– ‘র্যাফেলড্র’ বৈধ না অবৈধ তা আমার জানা নেই। অপরদিকে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাইজানান, বৈশাখী মেলায় র্যাফেল ড্র পরিচালনা করার কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়েরসাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অবিলম্বে এ অবৈধ সর্বনাশা লটারি বন্ধ করা হোক।
প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।