প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২৪ , ১২:৪৫:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়ার অজোপাড়া গায়ের অসহায় দরিদ্রদের ব্যাংক থেকে ঋন পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্টো জমা নেয়া চেকে ২০ লাখ টাকা হাওলাদ পরিশোধের উকিল নোটিশ দিয়েছেন। এনিয়ে প্রতারনার শিকার দরিদ্র মোসা. আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল জিস্ট্রেট আদালতে বাঃ দঃ বিঃ ৪০৬/৪২০/৩৮৫/৫০৬(।।)/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি তদন্তের জন্য কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দেন।মামলার আসামীরা হলেন, মো.ফরিদুল হাওলাদার (৫৫), মোসা: শাহিনুর বেগম (৫০), মো. মিলন (৪৫), মোসা: লামিয়া (২৫), মোসা: বিউটি (২৭) ও মো: ফারুক (৩০)।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আলীগঞ্জ গ্রামের মো. ফরিদুল হাওলাদার জনপ্রতি দুই লাখ টাকা ব্যাংক থেকে ঋন উত্তোলন করে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এরপরে রূপালী ব্যাংক লি: খেপুপাড়া শাখার একাউন্ট খুলে চেক বই সংগ্রহ করে এবং চেকের একটি পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে তার হেফাজতে রাখে। রূপালী ব্যাংক লিঃ, খেপুপাড়া শাখার হিসাব নং-৫২৫৬০১০০১১৬৯৬ হইতে ঝইও ঢ ৪৪১৬৩২১ সহ অপর ১টি ব্যাংক চেকের পাতায় আম্বিয়ার স্বাক্ষর নিয়া মূল চেক
বইখানা তাহার হেফাজতে নেয় এছাড়াও জমাজমির দলিল পত্র, ছবি, পর্চাসহ ঋন করার খরচ বাবদ নগদ ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। এভাবে আরও নয় জনের কাছ থেকে মোট এক লাখ নব্বই হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনার তিন মাস পার হলেও ঋন না দেয়ায় বাদী ঋনের জন্য চাপ দিলে উল্টো ব্লাংক চেকের পাতায় ২০ লাখ টাকা হাওলাদ নিয়েছে উল্লেখ করে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে রূপালী ব্যাংক লিঃ, খেপুপাড়া শাখার ম্যানেজার মো বশির উদ্দিন বলেন, মিলন নামে আমাদের ব্যাংকে কেউ নেই। আমি তাকে চিনিও না। ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে চেক ডিজঅনার করা হয়েছে।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ কাইয়ুম শিকদার বলেন, মোসা. আম্বিয়া বেগম হত দরিদ্র। তার বাড়ির অবস্থা খুবই নাজুক। তার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা হাওলাদ নেয়ার অভিযোগ সত্যিই বেমানান।
শাহাজালাল ইসলামি ব্যাঙকের কলাপাড়া শাখার মাষ্টার রোলের কর্মচারি অভিযুক্ত মিলন বলেন, মো.ফরিদুল হাওলাদার আমার সৎ ভাই। ঋন দেয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
প্রধান অভিযুক্ত মো.ফরিদুল হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের প্রমান আছে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাপাড়া থানার এস আই মো জহিরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে মামলার কপি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।