প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২০ , ৪:৩৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস :-
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে দরপত্র ছাড়াই পুরাতন কাগজ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সরজমিনে গিয়েও মিলেছে ঘটনার সত্যতা। সকাল ১১টায় (মঙ্গলবার) প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার পরিত্যক্ত কাগজ কর্নফুলী প্রেস মিলের ঠিকাদার পরিচয়দানকারী সেলিম নামের এক ব্যাক্তির কাছে কাগজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। যদিও সেলিম কর্নফুলী প্রেস মিলের ঠিকাদার কিনা তা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সন্দেহ। বিশ্বস্ত এক সূত্র বলছে, সেলিম কর্নফুলী মিলের নাম করে কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই শিক্ষা বোর্ডের কাগজ বোর্ডের যোগসাজশে কদমতলি ঝিলের পাড়ে অবস্থিত নিজের গুদামে নিয়ে যাচ্ছে। ঐ দিন এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিছু গণমাধ্যমকর্মী। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ওজন মাপার দাড়িপাল্লায় পুরাতন কাগজগুলোর ওজন মাপছেন সেলিম নামের ঐ ব্যাক্তি। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা ওজন মাপার দাড়িপাল্লায় পায় গরমিল। সেখানে প্রতি ১০০ কেজিতে গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজন কম পায় তারা। পরে এব্যাপরে সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সুদোত্তর না দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের সরনাপন্ন হয়। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ ইউনুস। তিনি বিষয়টি অন্যদিকে নেয়ার জন্য কর্ণফুলি মিলের একটি কাগজ দেখিয়ে পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। গণমাধ্যমকর্মীরা ওজনে কম হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডের অভিজ্ঞ ৭জন বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। এখানে কোন কারচুপি হওয়ার কথা না, তবুও আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতেছি।’ বিস্বস্ত আরও একটি সূত্র জানায়, গতবছর দরপত্রের মাধ্যমে বরিশালের এক ঠিকাদারের কাছে ৩২ টন পুরাতন কাগজ বিক্রি করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। যার মূল্য ছিলো ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৬৮ টাকা। তবে এবছর দরপত্র ছাড়াই পুরাতন কাগজ বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, এরকম কারচুপির মাধ্যমে সরকারী প্রতিষ্ঠানের কোন কিছু বিক্রি হলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায় তেমনি সুযোগ নেয় এক শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যদিকে ওজন মাপার বিষয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে। সেখানেও সেয়ার এবং কমেন্টের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।