প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২০ , ৩:০৬:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :-
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক আলচনা সমালোচনার মুখে করোনা সনাক্ত মেশিন এসে পৌঁছেছে। চলছে ল্যাব প্রস্তুতির কাজ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সনাক্ত মেশিন দিয়ে রোগীর রোগ নির্ণয় শুরু করতে পারবেন তারা।কিন্তু ভবনের কাজ নিয়েও চলছে গুঞ্জন । সোনা জাচ্ছে ভবনের কাজ চলছে ৬ মাস আগে থেকেই । সেই কাজ দেখিয়ে মিডিয়াকে কোনো ভাবে বুঝানো হয়েছে । এমন অভিযোগ পাওয়া গেলেও সত্যতা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা ।
অপরদিকে মেশিনটি কার সুপারিশে শেবাচিমে এসেছে তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার অনুসারীদের মাঝে চলছে স্টাটাস যুদ্ধ । পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে মেশিনটি স্থাপনে শেবাচিম চিকিৎসকদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করতে দেখা গেলেও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে এক্ষেত্রে অনুপস্থিত দেখা যায়।
তবে সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী মহানগর ছাত্রলীগ নেতা এম আর অনিক তার টাইমলাইনে লিখেন ধন্যবাদ, মাননীয় মেয়র “সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ” ভাই আপনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বরিশাল ‘শেরে বাংলা মেডিকেল’ এ এসেছে Covid 19 সনাক্ত করণ Polymerase Chain Reaction (PCR) মেশিন। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে টেষ্ট শুরু হয়ে যাবে।
অপরদিকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন তার টাইমলাইনে লিখেন ,
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়
কর্ণেল জাহিদ ফারুক শামীম এমপি,র প্রতি
সবসময়ই বরিশাল বাসির পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য।
অবশ্য দুই নেতার কেউই এ নিয়ে দাবীর স্বপক্ষে-বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
বৃহত্তম এই হাসপাতালটিতে করোনা সনাক্তের মেশিনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং তত্ত্বাবধানে মেশিনটি শেবাচিমে আসে। এর দুইদিন পরেই ১ এপ্রিল মেশিনটি স্থাপনে প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বরিশালে এসেছেন।এর আগ থেকেই কোথায় মেশিনটি স্থাপন করা হবে সে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। শেবাচিম মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের করোনা সনাক্তের এই মেশিনটি স্থাপনে প্রকৌশলী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। ১ এপ্রিল বুধবার সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুক শামীম শেবাচিমে যান এবং মেশিনটি যত দ্রুত সম্ভব স্থাপনের তাগিদ দেন।এসময় শেবাচিমের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসকদের নিয়ে তিনি একটি সমন্বয় বৈঠক করেন। ঐ বৈঠকে প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। এই প্রকৌশলী আশ্বস্ত করেছেন চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্থাপনের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ল্যাবটি আধুনিকায়নের কাজও সম্পন্ন হবে। সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও শেবাচিম হাসপাতাল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে মেশিনটি স্থাপনের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই বলা হয় দেশের প্রতিটি বিভাগে করোনা পরীক্ষার যন্ত্র স্থাপন করা হবে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ নিয়ে বৈঠকেও করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এদিকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর রাজনৈতিক অনুসারী একটি অংশের দাবী মেশিন আসার পর এই নেতা নিরব থাকলেও মেশিনটি বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদানই বেশি। তিনি এবং তার পিতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে জোড় তদ্বির চালান। তার ঘনিষ্টজনদের দাবী করোনা ভাইরাস নিয়ে সন্দিহান হওয়ায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্ নিজ ঘরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন কাটিয়ে এখন শারীরিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছেন। এ কারণে শেবাচিমের করোনা মেশিন নিয়ে কোন কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে ইচ্ছা স্বত্ত্বেও অনুপস্থিত থাকতে হচ্ছে।