প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২০ , ১০:৩০:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক মুলাদী॥
বরিশালের মুলাদী উপজেলার ২নং নাজিরপুর ইউনিয়নে জেলেদের ভিজিএফ-র চাল ৪০ কেজির যায়গায় ২৮ কেজি দেওয়ায় ও চাল পরিবহন খরচ বাবদ প্রতি জেলে কাছ থেকে নগদ অর্থ আত্মসাৎদে চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপানকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপানকে চিঠি দিয়েছেন।
অন্যদিকে জেলেদের চাল কম দেওয়ায়, জেলেদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আত্মসাৎ করা ও ভিজিডি চাল এক মাস না দেওয়া এবং মহামারী পরিস্থিতি করোনা ভাইরাসে সরকারি ত্রান সঠিক ভাবে বিতরণ না করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস জানান, নাজিরপুর ইউনিয়নে ৩১০ জন জেলের ফেরুয়ারী /২০২০ মাসে ১২.৪০ মে:টন চালের বিপরীতে ৪০৪ বস্তা (৩০ কেজি বস্তা) উত্তলোন করে চেয়ারম্যান । জেলে দের ৫৫৮ বস্তা (৩০ কেজি) অর্থৎ ১৬.৭৪ মে:টন চাল বিরতন করেন বলে জানান চেয়ারম্যান। এই অতিরিক্ত ১৫৪ বস্তা অর্থাৎ ৪.৬২ মে: টন চাল এর উৎস কি।
তদন্ত রিপোর্টে জেলে প্রতিনিধিরা জানান চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপান তাদের ফেরুয়ারী ও মার্চ মাসের চাল বুঝিয়ে দেন তাদের কাছ থেকে দুই মাসের স্বাক্ষর রেখেছেন। জেলেরা প্রত্যকে ২৮ কেজি করে চাল পেয়েছেন এবং জেলের কাছ থেকে পরিবহন খরচ বাবদ ২৭৯০০ টাকা নিয়েছেন যা স্পষ্টভাবে দূর্নীতি শামিল। অপর দিকে জেলের চাল দেওয়ার বিষয় নাজিরপুর ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার জানেন না। মুলাদী উপজেলা মৎস্য অফিসে জেলের চাল দেওয়া মাষ্টার রোল জমা দেওয়ার ট্যাগ অফিসারের স্বাক্ষর নাই।
“তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে।”
আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, জেলে প্রতিনিধিরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মুলাদী উপজেলা সিনিয়ন মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান কে তদন্তের জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। মাঠ পর্যায়ে তদন্তের আলোকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।