প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২০ , ১:৫৪:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :-
বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর মত। মরণের ভয়-ভীতি আর অস্থিরতা এমন সময়ে অনন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন সৃষ্টি করেছে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির জেলা শাখার নিবেদিত কর্মীরা গরীব দুঃখী মানুষের তালিকা তৈরি করে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, পৌঁছে দিচ্ছে ত্রাণ। ছাত্রলীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রেখে এগিয়ে এসেছে গ্রামীণ জনপদের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পাশে।
কোভিড-১৯ এই সময়টায় যখন কৃষকের মাঠে সোনালী ধান, তখন সেই ধান কাটার জন্য শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকের ধান মাঠেই নষ্ট হওয়ার মতো উপক্রম। এই পরিস্থিতিতে ক্ষেতের সোনালী ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগের তরুণ কর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আল-আমিনের নেতৃত্বে সদর উপজেলার রণমতি গ্রামের কৃষক আবদুস ছত্তারের প্রায় এক বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। রোজা রেখে ৪/৫ ঘণ্টায় তাঁরা এক বিঘা জমির ধান কাটেন। পরে কৃষের বাড়িতে ধান পৌছে দেন সযত্নে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক জানিয়েছেন, ‘করোনার এই সময়টায় মানুষের সহযোগিতা খুব প্রয়োজন। এজন্যে আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং শিল্প মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপির নির্দেশনা ও সহযোগিতায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি’।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা তাদের ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগ একটি টিম গঠন করে। যেখানেই শ্রমিক সংকট, সেখানেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে কৃষকের ধান কেটে দিবে। আজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন, মহামারির এই সময়টায় এলাকার এমপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি নিয়মিত সবার খোঁজ-খবর রাখছেন এবং মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
উপকারভোগী কৃষক আবদুস ছত্তার বলেন, আমি গরিব মানুষ কোথাও ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। ছাত্রলীগ এসে আমার ধান কেটে বাড়িতে তুলে দেন । আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি ।
এদিকে ঝালকাঠির সাধারণ জনগণ ছাত্রলীগের এ মহতি কাজের সাধুবাদ জানিয়েছেন। দেশ সেবায় সকলে এভাবে এগিয়ে আসলে সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক হবে।