প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২০ , ১০:৪২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনার তালতলীর বাদুরগাছা খালের উপর নির্মিত সেতুটি সংস্কারের অভাবে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির উপর দিয়ে মানবাহনতো দুরের কথা মানুষ চলাচল এখন দায় হয়ে পড়েছে। এই ভাঙ্গা সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন এই এলাকার ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চলাচল করছে। এতে তাদের ভোগান্তি আর বিরম্ভনার শেষ নেই।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ২০০১ সালে তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বাদুরগাছা (নয়াভাঙ্গলী) খালের উপর এ সেতুটি নির্মাণ করে। নির্মানের ১৯ বছরেও আর কোন সংস্কার না করায় ধীরে দীরে সেতু ভাঙ্গতে থাকে। গত দু বছর ধরে সেতুর মাঝ খান দিয়ে পাটাতনের সিমেন্টের ঢালাই খসে খালে পড়ে যায়। ঢালাই খসে পড়ায় এখন শুধু রড বেড়িয়ে রয়েছে। ফলে এর উপর দিয়ে মানুষ পায় হেটেও যাতায়ত করতে পারছে না। চলছে না কোন যানবাহনও। জরুরী প্রয়োজনে প্রায় আরো ২-৩ কিলোমিটার অন্য ঐলাকা ঘুরে এই এলাকার মানুষ জনদের চলাচল করতে হয়। এই সেতুটি ভাঙ্গা থাকায় ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। এই সেতু পার হয়ে প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কিংবা অন্য মুমুর্ষ রোগীদের যান বাহন এবং এ্যম্বুলেন্স চলাচলের অভাবে হাসপাতালে নেওয়া যায় না ফলে বাড়ীতে বসে তাদের মৃত্যু প্রহর গুনতে হয়। না হয় স্থানীয় ওঝা কিংবা কবিরাজের ধরনা ধরতে হয়। ফলে বাড়ছে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি। সম্প্রতি রাসেল নামের একটি শিশু এই সেতুর উপর দিয়ে দৌড়ে পার হতে গিয়ে গিয়ে নীচে পড়ে লোহার রডে মারত্মক আঘাত লেঘে গুরতর আহত হন। এভাবে প্রতি নিয়তই অনেক নারী পুরুষ সেতু থেকে নীচে পড়ে আহত হচ্ছেন। স্থানীয় ষাটোর্ধ নারী আম্বিয়া বেগম বলেন‘ বাবাগো এই ব্রীজডা পার অইতে কইলজ্যাডা কাপে। আবার কোন সময় যানি নীচে পইর্যা যাই’। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আসলাম হোসেন বলেন, এই সেতু পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক ছেলে মেয়েদের বাদুর গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। কোমল মতি এসকল শিশুদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
শারিকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার বলেন, এই সেতুটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তাতে কোনো কাজ হয়নি। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ওই এলাকার ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তালতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর’র প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী বলেন, এই সেতুটি নতুন ভাবে নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রনালয় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।