প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২০ , ৫:৪১:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি :-
বাকেরগঞ্জের উপজেলার ১৪-নং নিয়ামতি ইউনিয়নে বাসষ্টান্ড সংলগ্নে বিল্ডিং নির্মাণ কাজের জন্য রক্ষিত ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।
এসময় বাঁধা দিতে গেলে ৫জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। আহতরা হলেন আনিচুর রহমান (৭৬), নিলুফা ইয়াসমিন (৫০), আয়শা ছিদ্দকি আষাঢ়ী (২৮), মুকুল বেগম (৪০) ও খলিলুর রহমান (৫০)। এ ঘটনায় মোঃ আনিচুর রহমান বাদী হয়ে ১৮-১৯ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, আনিচুর রহমানের পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোক বিবাদী মোঃ রহমাতুল্লাহ আতিকরা। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের নিয়ামতি মৌজায়, এসএ খতিয়ান নং-১৩৯৪/১০১৪, যাহার হাল-১০৭৩/১০৭৪ নং দাগ হইতে ১১.৭৫ শতক জমির মালিক আনিচুর রহমানের মেয়ে জামাতা দুলাল সিকদার ও গোলাম সরোয়ার হাওলাদার। নিয়ামতি গ্রামের আশ্রাফ আলী কাজী ও তার পুত্র আতিক, রুহুল আমিন, বাসার, ফেরদৌসরা উক্ত জমি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে হুমকি দেয়। আনিচুর রহমান ওই জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করার উদ্দেশ্যে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড ইত্যাদি আনিয়া মজুদ করেন। ভূমিদস্যু আশরাফ আলী কাজী, ও তার পুত্র রহমতউল্লাহ আতিক, রুহুল আমিন, বাসার, ফেরদৌস সহ একদল সন্ত্রাসী ১৮-১৯ জন গত ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উক্ত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া তাহাদের মজুদ করা নির্মাণকাজের হাজার ৪০৭০ কেজি রড, ১২০ বস্তা সিমেন্টসহ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬০ টাকার মালামাল চুরি করিয়া নিয়ে যায়।
লুট করে নেয়া মালামাল তাদের নিকট ফেরত চাইলে আনিচুর রহমান, তার স্ত্রী ও কন্যাসহ ৫জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। লুট করার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্যদেরকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মালামাল ফেরত দিতে একাধিকবার সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও তারা কালক্ষেপণ করিতে থাকেন। কোন উপায় না পেয়ে বৃদ্ধ আনিচুর রহমান অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদী ন্যায্য বিচারের অপেক্ষা দিন গুনছেন।