প্রতিনিধি ২০ জুন ২০২০ , ১২:১৯:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক :-
বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে চলছে কেরানি জাকারিয়ার ত্রাসের রাজত্ব। কেরানি জাকারিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে সীমাহিন অভিযোগ। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জাকারিয়া কালোবাজারে টিকিট বিক্রি, যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার, এমনকি যাত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই গ্রামের লোক হওয়ায় এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। আর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করায় দিনে দিনে করনিক জাকারিয়ার ত্রাস বেড়েই চলেছে। এই বিষয়ে সুন্দরবন-১০ লঞ্চে কর্মরত স্টাফরা দায়সারা জবাব দিচ্ছেন এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল (১৯) জুন সন্ধ্যায় সরেজমিনে জাকারিয়ার ত্রাসের সত্যতা পাওয়া যায়। কোভিড-১৯ এর কারনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন। কিন্তু জাকারিয়া সরকারি নির্দশের কোন তোয়াক্কা না করে লঞ্চের ডেকের সামনের বেশ কিছু অংশে জায়গা থাকা সত্বেও সেখানে বসার স্থান না দিয়ে লঞ্চের ভিতরে এক জনের বিছানার উপরে আরেকজনকে বসতে চাপ সৃষ্টি করছে। অথচ সরকারের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যাক্তি থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্বে অপর ব্যাক্তি বসার স্থান নিতে পারবে। কিন্তু জাকারিয়া এসব নিয়ম কানুনের কোন তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছেমত যাত্রীদেরকে চাপ সৃষ্টি করে প্রয়োজনে গালাগালি করে একসাথে বসতে বাধ্য করছে। এ বিষয়ে জাকারিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানায়, ডেকের সামনে জায়গা বিক্রি হয়ে গেছে। তুই অন্য লঞ্চ যা। এই বলে ভুক্তভোগী যাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ থেকে বের করে দেয়। এভাবে দিনের পর দিন জাকারিয়া এহেন ন্যাক্কার জনক কাজ করলেও লঞ্চকর্তৃ পক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।জানাগেছে সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্তাধিকারী বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু। সুন্দরবন নেভিগেশনের সুনাম ক্ষুণ্নকারী কে এই জাকারিয়া? এমনিটই প্রশ্ন সর্বমহলে। ভুক্তভোগী যাত্রীসাধারন এই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা করনিক জাকারিয়ার শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।