প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২০ , ৩:১৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি :-
বাকেরগঞ্জের নিয়ামতিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ঘরের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিপক্ষের নামে মিথ্যা মামলা দিতে সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, বৃদ্ধ আনিসুর রহমানের বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোক আশ্রাফ আলী কাজী। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের নিয়ামতি মৌজায়, এসএ খতিয়ান নং-১৩৯৪/১০১৪, যাহার হাল-১০৭৩/১০৭৪ নং দাগ হইতে ১১.৭৫ শতক জমির মালিক আনিচুর রহমানের মেয়ে জামাতা দুলাল সিকদার ও গোলাম সরোয়ার হাওলাদার। নিয়ামতি গ্রামের আশ্রাফ আলী কাজী ও তার পুত্র আতিক, রুহুল আমিন, বাসার, ফেরদৌসরা উক্ত জমি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে হুমকি দেয়। আনিচুর রহমান ওই জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করার উদ্দেশ্যে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড ইত্যাদি আনিয়া মজুদ করেন। ভূমিদস্যু আশরাফ আলী কাজী, ও তার পুত্র রহমতউল্লাহ আতিক, রুহুল আমিন, বাসার, ফেরদৌসসহ ১৮-১৯ জন গত ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উক্ত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া তাহাদের মজুদ করা নির্মাণকাজের হাজার ৪০৭০ কেজি রড, ১২০ বস্তা সিমেন্টসহ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬০ টাকার মালামাল চুরি করিয়া নিয়ে যায়। চুরি করিয়া নেয়া মালামাল তাদের নিকট ফেরত চাইলে আনিচুর রহমান, তার স্ত্রী ও কন্যাসহ ৫জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। চুরি করার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্যদেরকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মালামাল ফেরত দিতে একাধিকবার সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও তারা কালক্ষেপণ করিতে থাকেন। কোন উপায় না পেয়ে বৃদ্ধ আনিচুর রহমান ১৬ জুন অবশেষে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার কাউন্টার হিসাবে একটি মামলা দায়ের করতে আশ্রাফ কাজীর সুচতুর পুত্র রহমতউল্লাহ আতিক ২৬ জুন রাতে ১০-১২ জন ভাড়াটে লোকের সহায়তায় তার নিজের ঘরের মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের একটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম এবং পরদিন শনিবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাইদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আশ্রাফ কাজীর ঘরে শুক্রবার রাতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও এলাকার কেউ জানেন না। তাছাড়া ওই রাতে যারা ঘরে ছিল বিশেষ করে আশ্রাপ কাজীর স্ত্রী-কন্যা ও নাতিরা। তাদের কাছ থেকে ঐদিন রাতের ঘটনার আলাদা আলাদা বিবরণ পাওয়া যায়। আশেপাশের স্থানীয়দের বক্তব্য ও আশ্রাফ কাজীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটি সাজানো বলে মনে হয়। বৃদ্ধ আনিসুর রহমান জানান, তাহার দুই জামাতার ক্রয় করার জমি আশ্রাফ কাজীরা দখল দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, উল্টো তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা করছে। তিনি এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।