প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২০ , ১২:১৯:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক ।।ভোলা বোরহানউদ্দিন ছোট মানিকা ফাজিল মাদ্রাসার মসজিদের মোয়াজ্জিন মো.
মনির কে মসজিদের ভিতর তার রুমে ঢুকে বেদম মারধর করেন মো. নাগর মোল্লা
গংরা। শুক্রবার রাত অনুমান ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন
থানায় মামলা করা হয়েছে।
ছোট মানিকা ফাজিল মাদ্রাসার মসজিদের মোয়াজ্জিন আহত মনির জানান. মাদ্রাসা
বন্ধ থাকায় মাদ্রাসার গেইট লক করা থাকে। তাই নাগর মোল্লার স্ত্রী জিনু
বেগম মসজিদের বারান্দার ভিতর দিয়ে মাদ্রাসার মাঠে ছাগল আনা নেয়া করে। এতে
বিভিন্ন সময় আমি বাঁধা দেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় একই ভাবে ছাগল
নেয়ার সময় তাকে বাঁধা দেই।
এতে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং
বাকবিতন্ড করেন। পরে মাগরিব এর নামাজ শেষে নাগর মোল্লা এসেও আমাকে
গালিগালাজ করে। ওই সময় মুসলিরা তাকে থামিয়ে দেন। মুসলিরা যাওয়ার পর আমি
মসজিদের ভিতর আমার রুমে যাই। হঠাৎ নাগর মোল্লা ও তার ছেলে খোকন মোল্লা
রুমে ঢুকে আমার টেবিলের কাচের গ্লাস ভেঙ্গে আমার ডান হাতে কোপ দেয়।এতে
আমার হাতে জখম হয়। এরপর উনারা আমাকে এলোপাতারি মারধর করেন। আমার ডাক
চিৎকারে মুসলিরা এসে আমাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি
করেন। এদিকে আরো জানা যায়, আহত মনির ছোটমানিকা ফাজিল মাদ্রাসার ৯ম
শ্রেণীর ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ী চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ৪নং ওয়ার্ডে।
এ ব্যাপারে ওই মসজিদের সভাপতি আশরাফ ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,
এ ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। দোষিদের আইনগত বিচার
দাবী করছি।
এব্যাপারে মো. নাগর মোল্লা গ্যাঙদের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করলে তাদের
ব্যবহৃত ফোন রিসিভ করে নি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ ম. এনামুল হক জানান,
অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।