প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২০ , ৯:৫৬:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তালশ ডেস্ক ॥ দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১২৮তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,০৯৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪,৭০৩ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৫৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪২৩টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ৯৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৩৯১-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৭০৩ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮ হাজার ৩১৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের পুরুষ ৩০ জন এবং নারী ৯জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৯০ জন পুরুষ ও নারী ৫০১ জন। এদের মধ্যে ০ থেকে ১০ বছরের একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। ৩৪ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং পাঁচজন বাসায়।
মৃতদের ১৯ জন ঢাকা বিভাগে, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগে, ময়মনসিংহ ১ জন, সাতজন খুলনা বিভাগে, তিনজন বরিশাল বিভাগে এবং দুইজন করে রংপুর ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৭৬৫ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৭ হাজার ২৭০ জনকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৩ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন উনিশ হাজার ৮৯৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭ হাজার ৩৭১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৪০১ জনকে এবং এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৯৬ হাজার ২৫৫ জনকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ২৭৩ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার ৪৪ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬২ হাজার ২১১ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭৫ লাখ ৯১ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।