প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০:৫৬:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
শামীম ওসমান হীরা :-
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর নেতৃত্বে প্রচারভিযান পরিচালনা নিয়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের শিশুসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবের সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াকাটা পৌরসহরের মেলাপাড়া এলাকায়। নৌকা প্রার্থীর ১১ সমর্থক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৪ সমর্থক আহত হয়েছে বলে দুই প্রার্থী দাবি করেছেন। আহতদের সকলকে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে নৌকা সমর্থক মো. রফিকুল ইসলামকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মো. রাসেলকে কলাপাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় নির্বাচনী এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানান, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার অর্ধশতাধিক কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী বিধি লঙ্গন করে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালায়। এসময় স্থানীয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এতে বাধা প্রদান করে। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার নিজে ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষে নেতৃত্বদেয়।
কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় যারাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে সকলকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (জগ প্রতীক) আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আজ বিকালে ০৪ নং ওয়ার্ডের উঠান বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য আমার সমর্থকরা ওই এলাকায় প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে গেলে স্থানীয় নৌকার কর্মী ও সমর্থকরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামরা চালায়। এখবর শুনে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাকেও লাঞ্চিত করে।
এবিষয়ে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা বলেন, নির্বাচনী বিধিতে বেলা দুইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার প্রচারণার আইন থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার নির্বাচনী বিধি লঙ্গন করে বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণায় নেমেছিলো। এসময় তার স্থানীয় সমর্থকদের সাথে কথা কাটাকাটির সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপস্থিতিতে এবং তার নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে সে নিজেও নৌকার সমর্থকদের মারধর করেছে।
মহিপুর থানা ওসি মনিরুজ্জমান বলেন, সংর্ঘষের পরপরই ঘটনাস্থলে পলিশের একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে কুয়াকাটা পৌর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ###