Uncategorized

মুলাদীতে নারীর কারণেই জবাই হলেন ইমরান, মুল ঘাতকসহ গ্রেফতার-৫

  প্রতিনিধি ২ মে ২০২০ , ৫:২৭:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক মুলাদী :-

বরিশালের মুলাদীতে গত ২৯ এপ্রিল বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের আলতাফ হোসেন দফাদারের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫)কে প্রেম ঘটিত কারণে জবাই করে হত্যা করে আফরোজার সাবেক প্রেমিক যুবরাজ।

নিহতের স্বজনরা আজকের তালাশকে জানান কয়েক মাস আগে ইমরান কাতার থেকে দেশে আসে এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়ে। এরই মধ্যে আফরোজার প্রেমের জালে আটকে পড়ে ইমরান হোসেন।

ঘটনার বিবরণে জানাযায় আলাউদ্দিন সরদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আফরোজার সাথে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রেম নিবেদন চলে আসছিল একই গ্রামের শাহে আলম খলিফার পুত্র যুবরাজের সাথে।

হঠাৎ করে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ফাটল ধরলে আফরোজা যুবরাজকে বাদ দিয়ে বিদেশ ফেরত ইমরান হোসেনের সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিষয়টি যুবরাজ জানতে পারলে ইমরানকে আফরোজার সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য নিষেধ করে।

যুবরাজের নিষেধকে উপেক্ষা করে আফরোজার সাথে সম্পর্ক রেখে চলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে যুবরাজ। যুবরাজ বর্তমানে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাসের ৩য় বর্ষের ছাত্র।

গত ২৯ এপ্রিল রাত ১১টায় আফরোজা ফোন করলে ইমরান আফরোজার বাড়িতে যায়। সেখানে দুজনার মধ্যে কথাপোকথন হলে ঘাপটি মেরে থাকা সাবেক প্রেমিক যুবরাজ দেখতে পায়।

যুবরাজকে ইমরান দেখতে পেয়ে দৌড় দিলে যুবরাজ ধাওয়া করলে পথিমধ্যে ইমরান পড়ে গেলে সেখানেই যুবরাজের হাতে থাকা ডেগার দিয়ে ইমরানকে জবাই করে হত্যা করে লোকমান খানের বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে জমিতে লাশটি রেখে যায়।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা আমানতগঞ্জ বাজারে যাবার সময় লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করলে বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক, মুলাদী থানা সার্কেল এএসপি আনিসুজ্জামান, মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দীন মৃধাসহ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ইমরানের লাশ উদ্ধার করে।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের মালেক বেপারীর পুত্র আরিফ, মজনু মীরের পুত্র সজিব, আলম খলিফার পুত্র সোহেল খলিফা এবং আলাউদ্দিন সরদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আফরোজাকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলতাফ দফাদার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করলে মুলাদী থানা পুলিশ গত ১লা মে সকাল ১০টায় মুলাদী উপজেলার সিমান্তবর্তী উত্তরচরপদ্মা এলাকা থেকে যুবরাজকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিহত ইমরানের মোবাইল ফোন, হত্যায় ব্যাবহারিত ডেগার ও যুবরাজের রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়। ২মে যুবরাজকে আদালতে হাজির করলে হত্যার স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্ধি দেন।

আরও খবর

Sponsered content