প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২০ , ৭:২১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নারায়নগঞ্জ প্রতিবেদক :-
আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দিদার সুলতানের কাছে প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান তনয় আজমেরী ওসমানের পরিচয়ে ৫ লাখ টাকা দাবী করেছে চাদাঁবাজ সালাউদ্দিন রানা। এ ব্যাপারে দিদার সুলতান মেম্বার নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চাঁদার টাকা দেয়ার কথা বলে হাতে নাতে পুলিশ চাদাঁবাজ সালাউদ্দিন রানাকে সকালে বিশেষ তদ্বিরে রহস্যজনক ভাবে ছাড়া পেয়ে যায়।
মোঃ সালাউদ্দিন রানা নিজেকে সিংঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ান।সিঙ্গাপুর থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু নেতা কর্মীরা জানান আওয়ামীলীগের কোনো প্রগ্রামে তাকে না দেখলেও ঢাকা থেকে আসা নেতা কর্মিদের আপ্পায়নে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা খরচ করেন । তখন তাদের সাথে সেলফি তুলে তা ব্যাবহার করে দেশে বিভিন্য স্থানে জমি দখল সহ চাঁদাবাজীর ঘটনা নতুন কিছু নয় । তার এই সেলফি নিয়ে ৫ এপ্রিল ২০১৯ শালে দেশের সনাম ধন্য পত্রিকা যুগান্তরে “ ওবায়দুল কাদেরের সাথে সেলফির হিরিক “ সিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয় ।
সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগে আলীরটেক গ্রামের আমানউল্লাহর পুত্র ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ দিদার উল্লেখ করেন,মুক্তারকান্দি গ্রামের মোঃ বাবুল ওরফে বাচ্চু মেম্বারের পুত্র মোঃ সালাউদ্দিন রানা গতকাল সোমবার ১০ আগষ্ট বিকাল ৩.২০ মিনিটে আমি নিতাইগঞ্জ খালঘাট অবস্থান কালে সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের তনয় আজমেরী ওসমানের পরিচয়ে ০১৭৩৯০৮৯৪৯২ নাম্বার দিয়া ফোন করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। পরবতীতে বার বার ফোন করে কখনো ২ লাখ,কখনো ১ লাখ সহ বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে।আমার বাবা আমান উল্লাহ মেম্বার আজমেরী ওসমানের মা পারভীন ওসমানের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন ঐ নাম্বার আজমেরী ওসমানের নয়। সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় কৌশল গ্রহন করতে রাজি হই। আসামী ০১৮৯০২৯২৩৩৩ নম্বর দিয়ে চাষাড়া আসতে বলে। পরে পুলিশ চাদাঁবাজ সালাউদ্দিন রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সকালে বিশেষ তদ্বিরে ছাড়া পেয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, সালাউদ্দিন রানা নিজেকে সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নেতাদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে বড় মাপের নেতা বলে প্রচার চালাতেন। চাদাঁবাজি মামলা না হয়ে থানা থেকে ছাড়া পাওয়ায় হতবাক সচেতন মহল। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী দিদার মেম্বার বলেন,শুনেছি সকালে ছাড়া পেয়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে সদর মডেল থানা ওসি মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনায় কাউকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়নি, এমনটি সাফ জানিয়ে অস্বিকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। পরে সালাউদ্দিন রানার বিরুদ্ধে থানায় রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছে ভুক্তভোগী, যা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে এমনটা বললে, চাষাড়া থেকে নিয়ে আসা অভিযুক্ত যুবক সালাউদ্দিন রানা মূল হোতা নয় বলে জানান ওসি আসাদুজ্জামান। তিনি আরো বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত অজ্ঞাত মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আমরা মূল হোতাকে ধরার চেষ্টা করছি। যাকে থানায় আনা হয়েছিল সে অভিযোগকারীর সাথে মামা ভাগিনা সম্পর্ক রয়েছে। তাই রানাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এখন মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে প্রকৃত অপরাধীকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। দিদার মেম্বার রানা তার ভাগিনা নয় এ বিষয় নিস্চিত করেছেন ।
এদিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয় জানতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে নিয়ে আসা এসআই নুরুজ্জমানের সাথে কথা হলে তিনিও নরম সুরে জানান, নিয়ে এসেছিলাম। তবে দুইজনকে নিয়ে বসা হয়েছিল, যে নাম্বার থেকে কল দেয়া হয়েছে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও অভিযুক্ত রানার সাথে চাঁদাবাজির সংষিøষ্টতা নিয়ে আপনারা তদন্ত কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কিনা এবিষয়ে কোন উত্তর দেননি তিনি।