বোরহানউদ্দিনে নেশাগ্রস্ত রাকিবের তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
পিতাকে অমানুষিক নির্যাতন করছেন পাষন্ড ছেলে, এমপি মুকুল সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক মাদক সেবীর তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন সময় মাদক গ্রহণ করে একের পর এক অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে পৌর শহরের হাওলাদার মার্কেট সড়কের শাহে আলমের ছেলে রাকিব।
সূত্র জানায়, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা পিতার একমাত্র সন্তান রাকিব। মা মারা যাওয়ার পরে নিজের ইচ্ছে মত চলাফেরা করতে শুরু করে সে। দিনে দিনে রাকিবের নানা কর্মকান্ডে তার বাবা অতিষ্ট হলেও মা হারা একমাত্র সন্তান হওয়ায় বেশি শাসন করা হয়নি। আর এই শাসন না করার কারনেরই যেন রাকিবের অপকর্ম আরও বেড়ে যায়। গ্রহণ করতে শুরু করেন মাদক। এক পর্যায়ে এই মাদকের টাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে রাকিব। মাদকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে ঘড়ের আসবাপপত্র ভাংচুর করা শুরু করেন রাকিব। টাকা না দেওয়ায় নিজের পিতার সাথেও শুরু করেন খারাপ ব্যবহার। পিতা বাধ্য হয়েই সন্তানের চাহিদা মতো সব সময় টাকা দিতেন আর যখন রাকিবের চাহিদা মতো টাকা না দিতে পারতো তখনই তার পিতার উপর অমানষিক নির্যাতন চালাতো পাষন্ড রাকিব। আর পিতাকে নির্যাতনের কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে পরতে পতো রোষানলে, বিভিন্নভাবে তাদের সায়েস্তা করতেন রাকিব। আর মান-সম্মানের ভয়ে তাই কেউ আর প্রতিবাদ করার জন্য এগিয়ে আসতেন না।
আরেকটি সূত্র জানায়, রাকিবের কোন বোন না থাকায় রাকিবের বাবা তার বোনের মেয়েকে নিজের বাসায় এনে নিজের মেয়ের মতো লালন পালন করেন। সেই মেয়ের উপরের বিভিন্ন সময় অমানুষিক নির্যাতন চালাতো রাকিব। নির্যাতন সহ্য করতে করতে মেয়েটি এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যেটি সরেজমিনে দেখা যায়। শুধু নিজ বাড়িতেই নয় রাকিবের যন্ত্রনায় এখন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। নানা কারনে অকারনে নিরঅপরাধ অনেকে মারধর করেন রাকিব। এছাড়া বিভিন্ন দোকানে জোড়পূর্বক বাকিতে সিগারেট খেয়েও টাকা না দেয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন দোকান মালিক। বাকি টাকা চাওয়ায় তাদের উপর চড়াও হওয়ারও কথা জানায় তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকন মালিক জানায়, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। সামান্য এই দোকান দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাই, কিন্তু নেশাগ্রস্থ রাকিব বিভিন্ন সময় জোড়পূর্বক বাকি নিয়ে টাকা দেয় না, আর টাকা চাইলে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখায়।’
স্থানীয় একাধিক মুসুল্লি জানায়, ‘বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ও প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কিন্তু আমাদের এলাকার রাকিব মাদক সেবন করে যা মন চাইছে তাই করছেন। তার এইসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাকেই পরতে হয় রোষানলে। কোন মুরুব্বি মানে না সে, যাকে যেভাবে পারে অপমান করে।’ একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, নির্যাতনের কথা কখনও কাউকে যেন না জানানো হয় বলে পিতাকে শাসিয়েছেন রাকিব আর কাউকে জানালে পিতাকে হত্যার হুমকি দেয় মাদকাশক্ত পাষন্ড এই সন্তান, এই ভয়ে প্রশাসনের কাছে মুখ খোলাতো দূরের কথা কখনও কাউকে কিছু না বলে মুখ বুঝে অমানুসিক নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন পিতা।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ‘রাকিব শুধু মাদক সেবনই করেন না, তার বাবাকে যেভাবে নির্যাতন করে তাতে সব কিছু হার মানায়। আমরা চাই আমাদের ভোলা-২ আসনের অভিভাবক আলী আজম মুকল এমপি, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম সহ বোরহানউদ্দিন এর প্রশাসন মাদকাসক্ত রাকিবের বিরুদ্ধে কোন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এটাই এখন আমাদের সময়ের দাবী, তা না হলে আমাদের যুব সমাজ ধংসের দিকে চলে যাবে।’
প্রিয় পাঠক রাকিব ওরফে কাইল্ল্যা রাকিবের আরও নানা অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তারিত দেখতে চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।