প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২০ , ১:৩২:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নিচে একটি প্রভাবশালী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বেশ তৎপর। ওখানকার জমির মালিকদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই অনেকের জমি দখল করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্পতির কারনে ঐএলাকার আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যাক্তি সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যুদের হাতে নির্যাতনের শিকার। ঘটনা সূত্রে জানা যায় আসাদুজ্জামান এর বেশ কিছু জমি আছে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নিচে বরিশাল মেরিন একাডেমি এর পাশে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও কিছু সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট সেই জমি দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে র্দীঘ দিন ধরে। এই জমি নিয়ে আদালতে বেশ কয়েকবার মামলা হয়েছে। সেই মামলার রায় আসেন বাদী আসাদুজ্জামান’র পক্ষে। জমির মালিক আসাদুজ্জামান জানান, তার কাছে কাগজপত্র, জমির রেকর্ড এবং খাজনাসহ দলিল আছে।
২০১১ সাল থেকে এই জমি নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। কিন্তু এক বাহিনী দখল করার জন্য আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং জমির বেশ কিছু অংশ দখল করে ঘর উঠাচ্ছে। ঘর উঠানোর সময় জমির মালিক আসাদুজ্জামান কাজে বাধা দিতে গেলে দখলকারী বাহিনীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জয়নাল আবেদিন (৫৫), পিতা-মৃতঃ আরব আলী হাওলাদার, এমদাদুল হক (সুরুজ মোল্লা), মোঃসেলিম আকন(৫১),পিতা-মৃতঃ আঃ বারেক আকন। সর্বশেষ গত সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়িতে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কাগজপত্র নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় বসার কথা ছিল কিন্তু দখলকারীরা বিকালে আলোচনায় আসেনি। এ সময় তাদের বারবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরে নি এবং এক সময় তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য যে ওই জমিতে মহামান্য আদালত ১৮৮ ধারা (কেস নাম্বার-৮৩/২০১৮) জারির ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনকে তদন্ত করতে বলে এবং এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশ না মেনে ভুমিদস্যুরা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেন। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন এর পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতার পায়নি বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। বরং উল্টো ভূমিদস্যুরা চাঁদাবাজির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যারা এই জমির সাথে সম্পৃক্ত না তাদের নামেও তারা মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা করে। অন্যদিকে অপর এক ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, যে তার জমি সন্ত্রাসী বাহিনী দখল করে নিয়েছে এবং তিনি এখন প্রান নাশের হুমকিতে আছেন। প্রশাসনের নির্দেশে তার জমিতে ঘর তুলে দেওয়া হলেও ভুমিদস্যুরা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে সেই ঘর ভেঙ্গে দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করেন যে তারা এখন সর্বসান্ত। কারন সর্ব প্রকার দমন নীপিড়ন এর মাধ্যমে ভুমিদস্যুরা জমি দখল করছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলাও যাচ্ছে না। কারন তারা ক্ষমতা ও অর্থবলে আইন আদালত অবমাননা করে তাদের দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাসূত্রে জানা যায়, এই সন্ত্রাসী বাহিনী এর আগেও অনেক সরকারি ও মালিকানা জমি দখল করে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় এরা সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। আসাদুজ্জামানসহ ভুক্তোভোগীদের দাবি প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করেন। এছাড়া একটি ভুমিদস্যু চক্রের ভয়ে এলাকা ছাড়া অনেকেই।