প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২০ , ৫:২২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নোবেল করোনাভাইরাস এর মত সারাবিশ্বের মহামারী, এই কঠিন দুঃসময়ে সময়ে নিজের মতো করে দুঃখী মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন বাকেরগঞ্জের হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম।
সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে পেশায় তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার সাথে সাথে বাকেরগঞ্জ সহ প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকাতে অসহায় দুস্থ মানুষ এবং সাহায্যপ্রার্থীদের দুহাত ভরে সাহায্য করেছেন অনবরত।
হাজী মোঃ শহিদুল ইসলামের বাড়ি বরিশাল জেলার ঐতিহ্যবাহী বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়নে। পিতা মৃত তৈয়ব আলী হাওলাদার, ৫ ভাই ১ বোনের মধ্যে হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম দ্বিতীয় সন্তান। তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য ঠিকাদারি ব্যবসা করার কারণে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে থাকেন। নিজ গ্রামে না থাকলেও বাড়িতে থাকা তাহার ভাইদের দিয়ে অত্র ইউনিয়নের প্রত্যন্ত দরিদ্র অসহায় মানুষের খোঁজ নিয়ে তাদের হাতে সাহায্য পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সরকার লকডাউন ঘোষণা দেওয়ার কারণে সারাদেশে সকল খেটে খাওয়া মানুষরা যখন কর্মহীন অচল হয়ে পড়েন ঠিক তখনই তাদের দুঃখ-দুর্দশা সইতে না পেরে নিজ এলাকা নিয়ামতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাঁচশত পরিবারকে খেটে-খাওয়া মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম পক্ষে তাহার বড় ভাই শামীম হাওলাদার।
কোন স্বার্থহীন একান্তই নিজস্ব মহৎ উদ্যোগেই হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম এই ত্রান বিতরণ করেন। প্রতি ব্যাগ খাদ্য সামগ্রী পরিমাণ ৫ কেজি চাল সহ প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, সাবান সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যাগে ভরে নিজ এলাকা নিয়ামতি ইউনিয়নে বসবাসরত এলাকায় আশেপাশে দিনমজুর ও রিক্সাচালক সহ নিতান্তই গরীব এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী অনুদান প্রদান করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের একান্ত সাক্ষাতকারে সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে মুঠোফোনে হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন-যে, ‘আমরা যাহারা দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে আছি ভালো আছি, তাহারা যদি কর্মহীন খেটে খাওয়া পরিশ্রমী মানুষ গুলোর মুখের দিকে তাকাই তাহারা প্রত্যেককেই আজ ভীষণ অসহায়। বলতে গেলে তাদের কোনো রোজগারই নেই তাই খাবার কেনার টাকা নেই। এমন সকল দুস্থ ও গরিব লোক গুলোকে যদি সামর্থ্যবান লোকেরা শুধুই বিবেকের টানে তাদের জন্য আমার মত নিঃস্বার্থ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তাহলে হয়তো আমার এই অসহায় মানুষের এবং দেশের উপকারে আসতাম।
আমি যাদেরকে ত্রান দিতে পেরেছি তাদের মুখের হাসি দেখেই আমার কাছে সেটা নিরাশহীন ভরসার পূর্ণতার মত স্বর্গসুখ হাতে পাওয়ার মতো আনন্দ দেখেছি।
হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, মানুষের এই দুঃসময়ে সহায়তার জন্য সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এটাই শেষ নয়, আমি আবার আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই।
সমাজের প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যদি এগিয়ে এসে সবাই মিলে আমরা কঠিন এই সময় মানবতার হাত বাড়িয়ে দুঃখী মানুষ গুলোর পাশে এসে দাঁড়াই তাহলে প্রত্যেক দুঃখী মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে পারব।
আসুন আমরা সবাই মিলে নিজ নিজ বসত বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে জীবাণুমুক্ত করি একটি নিশ্চিন্ত সুখী সুস্থ সমাজ গড়ি।