Uncategorized

পটুয়াখালীতে টোকাই বিশুর হামলায় আজকের তালাশ’র সাংবাদিক সুমন গুরুত্বর আহত

  প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ১১:১০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীতে রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সিকদার কে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সুমনের সাথে থাকা নগদ ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুর দেড়টায় জেলার সদর পূর্ব হেতালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুমন ওই এলাকার তিন নং ওয়ার্ডের আ’লীগের সভাপতি আলী আকবরের ছেলে বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের তালাশ পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি এবং কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।

এছাড়া সুমন পটুয়াখালীর শিকদার টিভিএস পয়েন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আহতের ভাই শাহীন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন শিকদারের সাথে প্রতিবেশী মজিদ সিকদারের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোস্তফা সিকদার বিশু’র পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। কোন্দলের জের ধরে প্রায় সময় বিশু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন শিকদারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে সুমন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয়দের জানালে বিশু ও তার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বিসু বাহিনী সুমনকে ছাত্রলীগ সভাপতির পদ সহ রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বলেন। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বারবার হত্যার মিশনে বিশু ও তার বাহিনী টার্গেট করলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন।

ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুর একটায় জুমার নামাযের উদ্দেশ্যে সুমন বাসা থেকে বের হলে হঠাৎ তাকে পথ করে বিশু ও তার সহযোগী রুবেল শিকদার, কবির শিকদার, দুলাল, জলিলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন। একপর্যায়ে বিশুসহ অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে সুমন শিকদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সুমন কে বাঁচাতে তার মা রওশনারা এবং বাবা আলী আকবর আসলে তাদের ওপরও হামলা চালিয়ে আহত করেন বিশু সহ অন্যান্যরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে আহতদের অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় সুমনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলায় সুমনের মুখমন্ডলের মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুখমণ্ডল মারাত্মকভাবে কেটে গিয়ে অঙ্গহানি হয়।

এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদিকে সুমনের মা রোওশনারা ও বাবা আলী আকবরের ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।

আরও খবর

Sponsered content