প্রতিনিধি ২৬ নভেম্বর ২০২০ , ৬:৫৪:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের (ওয়েভ) আতঙ্ক। শীত আর করোনার সেকেন্ড ওয়েভকে ঘিরে বরিশালে মাস্কের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিটি মাস্কের দাম ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বক্সপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে মাস্কের দামের এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা রয়েছে। আবার মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মাস্কের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জনসাধারণ ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফালোফী মনোভাবকে’ দায়ী করছেন।
নগরীর সদর রোড, চকবাজার, হেমায়েত উদ্দিন রোড, হাজী মহসিন মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় মাক্স বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
যারা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতেন না কিংবা অনীহাবোধ করতেন তারাও বাধ্য হয়ে মাস্ক ব্যবহার করছেন। আবার শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে করোনা বিস্তারের বিষয়ে দুশ্চিন্তায়ও আছেন অনেকে। মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের সঙ্গে চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন।
শফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বার্তা বরিশালকে বলেন, ৫ টাকার সাধারণ মাস্ক ২০ থেকে ২৫ টাকা, ২০ টাকার মাস্ক ৬০ টাকা এবং ৪০ টাকার মাস্ক ১০০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি মাস্ক ব্যবসায়ী আরিফ বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী, দাম বাড়লে আমরা কী করবো? বাজারে তো মাস্কের সংকট নেই কিন্তু তারপরও দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগেও মানুষ কম দামে মাস্ক কিনেছে, আমরাও বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন এক বক্স মাস্কের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাহলে আমরা তো বেশি দামেই বিক্রি করব। যারা তৈরি করে কিংবা আমদানি করে তারাই মাস্কের দাম বাড়ার বিষয়ে ভালো জানে।’
একাধিক বিক্রেতারা জানান, সার্জিক্যাল মাস্ক ও এন-৯৫ মাস্কের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। ৫০টি মাস্কের এক বক্স সার্জিক্যাল মাস্ক ৭০-৮০ টাকা এবং ১০টির এন-৯৫ মাস্কের প্যাকেট ২০০-২২৫ টাকা পাইকারি দামে বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন সার্জিক্যাল মাস্ক ১২০ থেকে ১৫০ টাকা এবং এন-৯৫ মাস্ক ২৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
এদিকে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা করোনাকে পুঁজি করে মাক্স, হ্যান্ড স্যানেটাইজার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম বৃদ্ধি করা প্রতিদিন ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় জেল-জরিমানা করছেন জেলা প্রশাসন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ।