প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২০ , ২:০৭:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
শামীম ওসমান হীরা :-
পটুয়াখালি জেলাধীন মহিপুর থানা সদর ইউনিয়ন ৬ নং মহিপুর ইউনিয়ন। যার আয়াতন মোট ২,৮৪৩ হেক্টর (৭,০২৫ একর), জনসংখ্যা মোট২০,৮৮৬ , জনঘনত্ব ৭৩০/ বর্গ কি.মি
(১,৯০০/বর্গমাইল)।
এই মহিপুর ইউনিয়নে অসংখ্য ছোট/ বড় রাস্তা আছে যা মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য তৈরি করা। এই অসংখ্য রাস্তার মাঝে ৬ টি রাস্তা অত্র ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মহিপুর থানার সাথ একমাত্র যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বিগত ২২ বসরের অধিক সময় কোন উন্নায়ন ও সংস্কার এর ছোঁয়া লাগেনি মহিপুর ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। এতে মহিপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ের প্রয় ৪০ হাজার মানুষের জীবন বিপর্যিত। বাংলাদেশের ২য় মৎস বন্দর খ্যাত এই মহিপুর ইউনিয়ন। যেটা বাংলাদেশর অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি গ্রামের যোাগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সব থেকে বেশী গুরুত্ব আরোপ করেছেন, কারন যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে প্রায় ২ যুগ এক ফোঁটা উন্নায়নের ছোঁয়া পায়নি মহিপুর ইউনিয়নের জনগন।
বর্ষার মৌসুম এই ইউনিয়নের জনগনের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ ও ব্যাহত হচ্ছে জীবীকা নির্বাহের আয়ের উৎস।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এই ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষমতা লাভ করেছে ,সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়। এতে জনগনের মাঝে ক্ষোবের সৃস্টি হচ্ছ প্রতিনিয়ত।
জনগনের ভোটে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষোদ, উপজেলা পরিষোদ এর যেটা নিয়ম অনুসারে নির্বাচিত হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা, কিন্তু নির্বাচিত হয়েও এই বিষয় কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না।
অত্র ইউনিয়নের সাধারন জনগন বলেন, একের পর এক ইউনিয়ন পরিষোদের চেয়ারম্যান ও সদস্যের পরিবর্তন হলেও, আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
অত্র ইউনিয়ের জনগনের দাবী, মহিপুর থেকে বিপিনপুর ও সেরাজপুর হয়ে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ের সংযোগ কাটাভারনী ব্রিজ ৪ কি.মি., মহিপুর থেকে নজীবপুর রাস্তা ৪ কি.মি. যেটা মহিপুরের সাথে অত্র জনগনের একমাত্র যোাগাযোগ ব্যবস্থা, যার মাঝে অন্তর্গত – মহিপুর থানা, মহিপুর বন বিভাগ, মহিপুর মৎস বন্দরের একাংশ, ১৪ টি বরফ মিল, মহিপুর বি, এফ,ডি,সি মার্কেট সহ ট্রলার মেরামত করার ৫ টি প্রতিষ্ঠান। মনোহারপুর হয়ে মোয়াজ্জেমপুর, নিজশীববাড়িয়া এবং ডালবুগঞ্জ সংযোগ গাভবাড়ীয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত ৩ কি.মি., মহিপুর থেকে বিপিনপুর, নিজামপুর হয়ে নিজশীববাড়িয়া খেয়াঘাট( তালতলি উপজেলার সংযোগ) পর্যন্ত ৬ কি.মি. রাস্তা অতি জরুরি, যা মানুষের জীবন জাপন থমকে দিয়েছে।
তাই সাধারন জনগন সরকারের ঊর্ধ্বতম কতৃপক্ষর কাছে এই চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে অনুরোধ জানায়।