প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০১৯ , ৩:১৫:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে মোসাঃ নেহার বেগম (৪০) কে মারধর, হত্যার হুমকি সহ শ্লীলতাহানি অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টায় উপজেলার নৈকাঠি গ্রামের নেহার বেগমের স্বামীর ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পর ঘটনা স্থল থেকে ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ করিম সিকদার (৫৫) ও মোসাঃ হাদিয়া বেগম (৩৫) কে আটক করছে রাজাপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতেই নেহার বেগমের স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৭ জনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১৪)। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসছিলো। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুর ১টায় একই এলাকার মোঃ হালিম সিকদার (৪০) ও তার স্ত্রী মোসাঃ হাদিয়া বেগম (৩৫), মোঃ করিম সিকদার (৫৫) ও তার ছেলে মোঃ তারেক সিকদার (২২) সহ অজ্ঞাত ৭ জনের একটি দল হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, দা, খোন্তা, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে বাদীর সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া জোড় পূর্বক মাটি কাটিতে থাকে। মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নেহার ঘটনা ¯’লে উপ¯ি’ত হয় এবং বিবাদীদের কাজে বাধা প্রদান করে। এ সময় বিবাদীরা সবাই একযোগে নেহার উপর জাপিয়ে পরে এবং এলোপাথারি পিটিয়ে সমস্ত শরীরে ফুলা জখম করে ও খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পড়নের কাপড়-চোপড় টানা হেচড়া করিয়া খুলিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। তার গলায় ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন হাতিয়ে নেয় আসামিরা। নেহারের স্বামী রফিক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে তার উপর হামলা চালায় ও তার পকেটে থাকা ১৩ হাজার ৫০০শত টাকা হাতিয়ে নেয় আসামিরা। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে খুন করার হুমকি দিয়ে আসামিরা ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজাপুর স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়। নেহারকে আশংকাজনক আবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মুন্না জানান, মামলার ২ নং আসামি মোঃ করিম সিকদারের নামে বিভিন্ন থানায় মাদক, ধর্ষন, ডাকাতি সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, মামলার ২জন আসামিকে গ্রেফতার করে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।