Uncategorized

করোনায় থেমে নেই বেলতলা খেয়ার সেচ্ছাচারিতা !

  প্রতিনিধি ৫ মে ২০২১ , ৬:৪৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

{"source_sid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1620192175302","subsource":"done_button","uid":"06336ABB-AD1D-4C78-9624-9E7364B13AE9_1620192175293","source":"other","origin":"gallery"}

তালাশ প্রতিবেদক : বরিশাল বেলতলা খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। এ খেয়াঘাট সহ বরিশালের বেশ কয়েকটি ঘাট ইজারা মুক্ত করেন আধুনিক বরিশালের রূপকার প্রয়াত সাবেক সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন। সাধারন মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন দেখে তিনি বরিশাল নগরীর চরকাউয়া, চাঁদমারি ও বেলতলা খেয়াঘাট ইজারা মুক্ত করেন। তবে সেই সুফল বেশীদিন ভোগ করতে পারেনি বরিশালবাসী। কেননা ইজারামুক্ত করার ১৫ দিনের মাথায় তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান না ফেরার দেশে।

এর পরেই এক শ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মহল বেলতলা খেয়াঘাটটি ইজারা নেয় আর শুরু হয় নির্যাতনের নতুন ইতিহাস। সেখানে বরিশাল জেলা পরিষদের কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পেশী শক্তির প্রভাব দেখিয়ে এসব বিতর্কিত কর্মকান্ড করছে ইজারাদার।

সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সেখানে জেলা পরিষদের নির্ধারিত খেয়া পারাপাড়ের ভাড়ার তালিকা টানানোর কথা থাকলেও তা কখনোই চোখে পড়েনি যাত্রীদের। তবে ‘পারাপারে নির্ধারিত চার্ট ইজারাদারের নিজ দায়িত্বে লাগানোর কথা। কিন্তু বেলতলা খেয়াঘাটে ইজারাদার নির্ধারিত চার্ট না লাগানোয় জেলা পরিষদের পক্ষ্য থেকে স্থায়ীভাবে একটি রেট চার্ট লাগানো হয়। পরবর্তীতে কে বা কাহারা এটি সরিয়ে ফেলে’। আর এ কারনেই ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইজারাদারের পালিত সৈন্যরা। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষকে লাঞ্চিত হতে হয় এই ঘাটে। মান সম্মানের ভয়ে নিরবে অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করে।

সরেজমিনে আজকের তালাশের অনুসন্ধানি মাধ্যম গেলে অভিযোগের প্রমান মেলে। পরিচয় গোপন রেখে খেয়ায় উঠে আজকের তালাশের অনুসন্ধানী মাধ্যমের সদস্যরা ২ টি মোটরসাইকেল ৪ জন সদস্য । ট্রলার নদীর মাঝ পথে ভাড়া নিতে আসেন ইজারাদারের এক সৈন্য এবং ভাড়া দাবী করেন গাড়ী প্রতি ৪০ টাকা । এতো ভাড়ার কারন জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন গাড়ী ও চালক ৪০ টাকা আর সাথে একজন ১০ মোট ৫০ দিতে হবে। আর দুটি গাড়ী ও ৪ জন লোক মোট ১০০ দিতে হবে। তার তোপের মুখে ১০০ টাকা দিতে বাধ্য হই আমরা।

পরবর্তী চিত্র একই, অন্যসব যাত্রী থেকে ১০ টাকা, মোটরসাইকেল থেকে ৪০ টাকা, বাইসাইকেল থেকে ১৫ টাকা নেয়া হয়। আজকের তালাশের অনুসন্ধানী মাধ্যম রাত ১২ টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করে একই চিত্র দেখেন।

রাত ১২টার পরে আবার নদী পার হবার পালা। দেখলাম অন্য চিত্র পার হতে হলে লাগবে ২০০ টাকা। কারন জানতে চাইলে বারলো ভাড়া, হলো ৩০০ টাকা । বাধ্য হয়ে পার হতে হলো আমাদের। বেলতলা ঘাটে নুরজাহান নামে একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা, মারা গেছেন এক আত্বিয়। তারাতারি পার হতে চাইলে ২০০ টাকার নিচে পার করতে পারবেনা বলে সাব জানিয়ে দিলেন ঘাটের লোকেরা। কিন্ত ঘাটে আরো যাত্রী ছিলো তাদের কাছ থেকে ভাড়া আলাদা।

(এই খেয়াঘাটের ইজারাদারের নৈরাজ্য নিয়ে ২য় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন আজকের তালাশ পত্রিকার পাতায়)।

আরও খবর

Sponsered content