প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২১ , ১১:৫৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক: করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সীমিত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও বরিশাল নগরীর গীর্জা মহল্লায় প্রকাশ্যে দোকান খোলা রেখে বেচাকেনা চালাচ্ছেন বেশ কয়েকটি দোকান। এমন খবর পেয়ে গীর্জা মহল্লা এলাকায় যান বেশ করেকজন সংবাদকর্মী। তারা সব দোকান বন্ধ দেখলেও মোবাইল মেলা নামে একটি দোকান খোলা দেখতে পায়।
পরে সংবাদকর্মীরা ওই দোকানে মাস্কবিহীন জনতার ভীড় দেখে ছবি তোলার চেষ্টা করেন, এতে তাদের বাঁধা দেয় মোবাইল মেলার প্রোপাইটর শামীম হোসাইন। সেই চোর পুলিশ খেলা মোবাইল বিক্রি করার ভিডিও রেকর্ডিং আসে আমাদের হাতে। তারই ভিত্তিতে গত ৩০ জুন বুধবার বরিশালে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান খোলা রাখছে কে এই শামীম! শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর পরই নিজেকে বাঁচাতে সত্যকে মিথ্যা করতে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন শামীম।
শুধু মিডিয়া ম্যানেজই নয় শামীম বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন সংবাদকর্মীকে।
গীর্জা মহল্লার বেশ কয়েকজন মোবাইল ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানান,‘সরকারী নির্দেশনা মেনে আমরা দোকান বন্ধ রেখেছি, কিন্তু শামীম সব সময়ই দোকান খোলা রাখে, এমনকি ঈদের দিনেও সে দোকান খোলা রাখে।’ সে সব সময় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের দাপট দেখিয়ে দোকান খোলা রাখে বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, মোবাইল মেলা, শামীম টেলিকম ও তাহমি টেলিকম নামের তিনটি দোকানের প্রোপাইটর এই শামীম। লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তিনি তার তিনটি দোকানই খোলা রেখে আসছেন। প্রশাসন আসলেই দোকানের সাটার বন্ধ করে দেয় সুচতুর শামীম।
প্রিয় পাঠক একসময়ের মোবাইলের দোকানের কর্মচারী রাতারাতি তিনটি মোবাইলের দোকানের মালিক হওয়া সহ শামীমের আমলনামা দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক আজকের তালাশ পত্রিকার পাতায়।