প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২১ , ১০:১৮:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মেহেদী তামিম ॥ মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) এর কারনে সরকার ঘোষিত ধাপে, ধাপে লকডাউনের এর প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সামগ্রীর উপর।এরই একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সামগ্রীর একটি উপাদান হলো কাঁচামরিচ।বাঙালির পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই আজ অবধি পর্যন্ত রান্না বান্নার স্বাদ অতুলনীয় করার জন্য কাঁচামরিচের জুড়ি নেই। শুধুকি তাই কাঁচামরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ঔষধি গুন।চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে কাঁচামরিচ রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, এবং গ্যাসটিকের মহাঔষধ।
কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউনের ভিতর দাম বেড়ে যায় কাঁচামরিচের, যে কাঁচামরিচের দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি সে মরিচের দাম হঠাৎ ২০০-২২০ টাকা কেজি হয়।কিন্তু আজ আবার হঠাৎ করে কমে গেছে কাঁচামরিচের দাম বরিশালের বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা কাঁচাবাজার গুরে দেখা যায় কমতে শুরু করেছে মরিচের দাম, কেজি প্রতি কমে গেছে ৬০-৮০ টাকা,যে মরিচ ছিল ২০০-২২০ টাকা কেজি, সে মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা।
বাজার রোডে কাঁচাবাজার করতে আসা সুমনকে কাঁচামরিচের দাম সম্নধে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ভাই, এমনিতেই দেশে করোনা তারপর আবার চলতেছে লকডাউন, কামাই রোজগার নাই ঠিকমত তারপর যদি আবার কাঁচামরিচ কিনে খাওয়া লাগে ১৫০-২০০ টাকা কেজি তাহলে আমরা যাবো কোথায়।
এদিকে পোর্ট রোড কাঁচামরিচের খুচরা ব্যাবসায়ী শাহিনকে জিজ্ঞেসা করলে কত করে কেজি বিক্রি করেন কাঁচামরিচের? তিনি বলেন, ভাই আজ ১৬০ টাকা কেজি, তবে ২-১ দিন আগে ২০০-২২০ টাকা কেজিও বিক্রি করছি।
এই বিষয়ে জানার জন্য বরিশাল সিটি মার্কেটের কাঁচামালের পাইকারি আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার ভুইয়া সাংবাদিক দের বলেন ভাই লকডাউন এর কারনে ঠিক মত গাড়ি না চলার কারনে দামটা বেশী ছিল। তবে আবার ভারত থেকে এলছি কাঁচা মরিচের চালান আসায় দামটা কমতে শুরু করেছে। আজ আমরা পাইকারী ১৪০ টাকা ধরে কাঁচামরিচ বিক্রী করেছি। আশা করি দাম আরও কমবে।