প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২৩ , ২:১৯:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বরিশাল মেট্রপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার এসআই শাহাদাত এর সহযোগিতায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার ২৭ মার্চ মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পূত্র কাজী নজরুল ইসলাম বরিশাল পুলিশ কমিশনার বরাবর এসআই শাহাদাত এর বিরুদ্দে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপপুর মৌজার এস এ খতিয়ান ১৯ এর ১২০০ ও ১২০১ নং দাগে মোট ৯৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৪৬.৫০ শতাংশের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সামছুল হক। উক্ত খতিয়ানের অন্য মালিকগনের জমি বিক্রি করিলে সেই জমি ইউসুফ মুন্সী নামের একজন ক্রয় করে। কিন্তু ক্রয় করা জমি বাদ দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ভোগ দখলীয় জমি জোড় পূর্বক ইমরাত নির্মান করে দখলের চেষ্টা করে ইউসুফ মুন্সী ও তার লোকজন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা কাজী সামছুল হকের ছেলে বাধা প্রদান করে।
বাধাঁয় কর্নপাত না করলে কাজী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বরিশাল জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্ত আদালতের বাধাঁ উপেক্ষা করে গত ২৩ তারিখ বৃহষ্পতিবার কাজ শুরু করলে বাদী জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জমি মাপের মাধ্যমে সমাধান করার সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না মেনে ইউসুফ মুন্সি এয়ারপোর্ট থানায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের তদন্তভার পাওয়া বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এস আই শাহাদাত অজ্ঞাত কারণে মোঃ ইউসুফ মুন্সির পক্ষ নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করে এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কাজী নজরুল ইসলাম কে লাঞ্চিত পূর্বক মোবাইল ফোন জব্দ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, এস আই শাহাদাত বে-আইনি ভাবে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচারন ও আমাকে টেনে হিচরে ঘর থেকে বের করা কমিশনার স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি তদন্ত সাপেক্ষে ভূমিদস্যু ইউসুফ মুন্সি ও এস আই শাহাদাত এর বিচার কামনা করছি।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এসআই শাহাদাত বলেন, আমি কারো সাথে কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ করি নি। আমার কাছে প্রতাপপুর গ্রামের ইউসুফ মুন্সি নামে এক ব্যক্তির একটি অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জমি মাপ দিয়ে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দিয়েছি।