সকল বিভাগ

পটুয়াখালীতে নৌবাহিনীর সদস্যর বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

  প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২৩ , ১০:০০:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক: পটুয়াখালীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে নৌবাহিনীর সদস্যর বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার ( র্মাচ) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর বদরপুর গ্রামে মো. ইউসুফ হাওলাদারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার তাৎক্ষনিক ৯৯৯ ফোন করলে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী ইউসুফ হাওলাদার জানান, তার বড় ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশে এবং ছোট ছেলেরাসূল কিবরিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকুরি করেন। চাকুরি সুবাদে তারা দুজনেই বাড়ির বাহিরে থাকেন।বাড়িতে তিনি এবং তার স্ত্রী থাকেন। তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার সকাল ১০টারদিকে একই গ্রামের মো. ফজলু হাওলাদার, তার ভাই মো. জসিম হাওলাদার এবং চাচা হানিফ হাওলাদারসহ /জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা করে। এসময় তিনি ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিলে হামলকারীরা ঘরেরউপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ঘরের সামনের জানালা কুপিয়ে এবং পিটিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় আতঙ্কগ্রস্তহয়ে তিনি তার বড় ছেলে পুলিশের এএসআই শফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি ৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতাচান। তাৎক্ষণিক পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া পটুয়াখালী সদর থানার এএসআই পিন্টু বলেন, জমিজমা নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধচলছিল। হামলার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা করছে। এছাড়াইটপাটকেল নিক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরে হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ থেকে কল পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ফোর্সপাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভবহয়নি। তিনি বলেন, ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে হামলার পর থেকেই হামলাকারীরা বিভিন্ন প্রকার হামলামামলা, ভয়ভীতি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেজানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। তারা জানিয়েছেন, ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর

Sponsered content