সকল বিভাগ

বরিশাল কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষর্থীদের বিক্ষোভ

  প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২৩ , ৯:২৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদকঃ সরকারী বরিশাল কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ রাকিবুল ইসলাম রিজনকে পরিকল্পিতভাবে উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করার প্রচেষ্ঠাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালের ৮টি কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী,পরিবারের সদস্য গণ ও এলাকাবাশি মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছিল করে।

আজ রোববার (১৯) মার্চ সকাল ১১টায় নগরীর প্রানকেন্দ্র সদররোডে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে নগরীতে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।

শিক্ষার্থী এইচ.এম রাব্বির সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন এলাকাবাশি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান খান, শিক্ষার্থী মঈন, ঈমন, নোমান, নিলয়, তানভির, সোহান, রাইয়ান, আহত রাকিবুলের বোন সুমাইয়া আক্তার, টুম্পা আক্তার, ভগ্নিপতি সায়মন হোসেন ও আব্দুল জব্বার প্রমুখ।

সরকারি বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থী রিজনের বিচারের দাবীতে নগরীর অমৃত লাল দে কলে,সরকারি সৈয়দ হাতেম আলি কলেজ,সরকারি বরিশাল কলেজ,সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি আলেকান্দা কলেজ সহ ৮টি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে অংশ গ্রহন করে।

মামলার বিবরন ও এলাকাবাশিরা জানায় এলাকা বিভিন্ন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী কাযকলাপ করার প্রতিবাদ করার জেড় ধরে গত ১৫ মার্চ বিকালে রাকিবুল ইসলাম রিজন বাসা থেকে বেড় হয়ে মোটর বাইক নিয়ে কাশিপুর বাজারের দিকে আসার পথে নগরীর ইছাকাঠি প্রধান সড়কের উপর পরিকল্পিতভাবে পূর্ব থেকেই অবস্থান নেয়া প্রধান হামলাকারি কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ রিওয়ন সিকদারের নেতৃত্বে মোঃ সিহাব,মোঃ রাকিব,মোঃ লিখন সিকদার,রাব্বি কাজী, মোঃ সাদ ও ইজাজুল ইসলাম আবির সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন রিজনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করার উর্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে বীরদর্পে চলে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন রিজনকে বাচাবার জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনে জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এসময় এলাকবাশি রিজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে এখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করে দেয়।

এঘটনায় রিজনের মাতা রুবিনা বেগম (৫০) বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় নামধারী ৭ জন সহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

এসময় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় এখনও প্রধান হামলাকারী আসামীরা অজ্ঞাত ক্ষমতার বলে এলাকায় ভিতর ঘুড়ে বেড়িয়ে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেবার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

তাই অভিলম্বে দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় তুলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। এখানে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন দ্রুত সন্ত্রাসী আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে বরিশালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নগরীতে কঠোর অন্দোলনের ডাক দিয়ে বিচারের দাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয় তারা রাস্তায় অবস্থান নেবে বলে হুসিয়ারী দেয়।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই আকতার হোসেনের কাছে এই মামলার সংক্রান্ত জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন ওসি সাহেবকে কল করেন।

পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল এর সরকারি মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার কোন উত্তর পাওয়া যায় নাই।

আরও খবর

Sponsered content