রাজনীতি

বরিশাল-৩ আসনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই- কাজী ইমদাদুল হক দুলাল

  প্রতিনিধি ১৮ মার্চ ২০২৩ , ৪:১১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ “জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে দক্ষিণ বঙ্গের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। বরিশালের একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত বাবুগঞ্জ-মুলাদী এ উপজেলা দুটি এখন আওয়ামী ঘাঁটিতে রুপান্তরিত হয়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা পুনরায় আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আর এটা সম্ভব হযয়েছে একমাত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে দেশের উন্নয়নের রূপরেখা দেখে। তাই দেশের সাথে সমন্বয় রেখে বরিশাল ৩ আসনভুক্ত বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলার উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে প্রার্থী হিসেবে পেতে চাই।

 

 

এটা শুধু আমার নয় এটা সাধারণ মানুষের ইচ্ছা এবং প্রত্যাশা”। গতকাল বিকেল ৪টায় বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলাল। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী দুলাল বলেন, “আমরা এ দুটি উপজেলার আওয়ামী নেতা কর্মীরা আমাদের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে এ আসনটিতে নির্বাচনে আসার জন্য প্রস্তাব সহ অনুরোধ জানাবো। যদি তিনি কোনক্রমে সম্মতি না জানান এবং দল যদি সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নৌকা প্রতিক নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক”। কাজী দুলাল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনগুলোতে আমরা প্রকৃত নৌকার মাঝি পাইনি। হয় ভাড়াটিয়া মাঝি অথবা জোটের অণ্য কোন প্রার্থীকে এ সংসদীয় আসনের প্রার্থী করা হয়েছে। এবারের দ্বাদস সংসদ নির্বাচনে আমরা বাবুগঞ্জ-মুলাদীবাসী আর ভাড়াটিয়া নৌকার মাঝি চাইনা। আমাদের রাজনৈতি অভিভাবকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে একটাই দাবী থাকবে বরিশাল-৩ বাবুগঞ্জ মুলাদীআসনে নৌকার প্রকৃত মাঝিকে মনোনয়ন দিতে হবে।

 

কাজী ইমদাদুল হক দুলাল দীর্ঘ ৪ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এরমধ্যে গত ২ দশক ধরে আওয়ামী লীগের পরিশুদ্ধ রাজনীতির একজন আদর্শিক নেতা ও সংগঠক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সর্বদা নিরলশ কাজ করে যাচ্ছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ৩ মেয়াদে টানা দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে শৈশব থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ বুকে লালন করে চলতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শোনার জন্য শিশুকালে তিনি তার বাবার রেডিওটা নিজের গলায় বেঁধে ঝুলিয়ে সারাবাড়ি হেঁটে বেড়াতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। মহানগর ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে ওই বছরই বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাবুগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে পর্দাপণ করেন কাজী দুলাল। সেই সম্মেলনে বর্তমান বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা কামাল চিশতী তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

 

বাবুগঞ্জ উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ার স্বপ্ন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ‘নিজে অন্যায় করবো না এবং কাউকে অন্যায় কাজে দেবো না’-এ স্লেগানকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনেন কাজী দুলাল। নির্বাচিত হয়ে প্রথমেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও লুটপাট বন্ধে বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ৪০ দিনের অতিদরিদ্র ও কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক বাছাই ও তাদের ব্যাংক হিসাবে বিল পরিশোধের মাধ্যমে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করে প্রকাশ্য জনসম্মুখে উন্মুক্তভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তিনি সরকারি বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেন। বরিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলাল বলেন, উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি রোধ ও দারিদ্রমুক্ত করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

এছাড়াও অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুদান ও ভাতা যাতে প্রকৃত হকদারদের হাতে পৌঁছানো যায় সেই লক্ষ্যে সততার সঙ্গে কাজ করছি। সে লক্ষে আগামী দ্বাদস জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবুগঞ্জ মুলাদী আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে লড়তে চাই। তবে আমাদরে অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ যদি মনে করেন এ আসনে আমার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি অন্য যে কাউকে মােনয়ন দিবেন আমি সহ বাবুগঞ্জ মুলাদী আসনের সকল নেতা কর্মী তার পক্ষে কাজ করে প্রকৃত নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করে আনবো আনশাআল্লাহ।

আরও খবর

Sponsered content