অপরাধ

বরিশালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য

  প্রতিনিধি ১৩ জুন ২০২৪ , ১:১৭:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইজুল ইসলাম ॥ বরিশালের বিভিন্ন বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে পণ্য। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সরেজমিন রুপাতলী এলাকার আপন ফুডস বেকারিতে দেখা গেছে চারদিকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ, পাতিলে কালো পোড়া তেল, কাপোরের রং ও কৃত্তিম ফ্লেভার ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি পণ্য। শুধু এই বেকারির কারখানাই নয়, অধিকাংশ বেকারির কারখানার চিত্রই একই। এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন দোকানগুলোতে।

 

জানা গেছে, বেশির ভাগ শিশুদের পছন্দের খাবারের তালিকায় বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় বেকারির পণ্য রয়েছে। আবার অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা এই জাতীয় খাবার বাজার থেকে কিনে খান। এসব খাদ্যসামগ্রীর চাহিদাও মোটামুটি বেশ। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গেলেও বেকারির পণ্য দিয়ে অনেকেই অতিথিদের আপ্যায়ন করে থাকেন।

বাণিজ্যিকভাবে এসব পণ্য তৈরি ও বিপণন করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা পালন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বরিশালের অধিকাংশ বেকারির কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে পন্য।
আপন ফুডস বেকারির ফ্যাক্টারির অভ্যন্তরের বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তুপ। স্যাঁতসেঁতে পাকা মেঝে। টিনের একটি ঘরে বড় আকারের চুলা বসিয়ে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে। গ্লোভসবিহীন হাতে ও গেঞ্জি পড়ে দাঁড়িয়ে অপরিচ্ছন্ন শরীরে এসব পণ্য তৈরি করছেন শ্রমিকরা। পাশেই কেমিক্যাল রং ও ফ্লেভার গুঁড়া।

 

জানা গেছে, বিভিন্ন হাস মুরগির খামারে বাচ্চা উৎপাদের জন্য ডিম ব্যবহার করা হয়। যেসব ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত না হয় সেই পচা ডিম ব্যবহার করা হয় এই বেকারি কারখানায়। সরেজমিন রুপাতলীর আপন ফুডস বেকারিতে এমন ডিমের সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুপাতলীর এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সকালে প্রচুর পরিমান পচা ডিম আসে। এসব ডিম ব্যবহার করা হয় বেকারির কারখানায়।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, এইসব বেকারিতে নষ্ট ডিম এবং ক্ষতিকর রং ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ভিতরের পরিবেশ খুবই খারাপ।

 

এদিকে বেকারির মালিক এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

আরও খবর

Sponsered content