প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২৩ , ২:৩৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোচিংয়ের কথা বলে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এমনকি কোচিংয়ের টাকা না দিলে ফরম পূরণ বা পরবতীর্তে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলেও পরীক্ষার্থীদের কৌশলে হুমকি দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা এমনটাই অভিযোগ একাধিক অভিভাবকের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়নাল হোসেনের নির্দেশে ফরম পূরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ এ অর্থ আদায় করছেন। বাধ্যতামূলক কোচিং ফি আদায়ের বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি একটি সভা করে নির্ধারণ করেছে বলে প্রধান শিক্ষক দাবি করলেও ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন সকলের মতামত নিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এ বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে ৭৮ জন পরীক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারে পরীক্ষার্থীদের জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ফরম পূরণের নির্ধারিত ফি’র বাইরে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আরও দেড় টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
অনেক পরীক্ষার্থী কোচিংয়ে অনাগ্রহ দেখালেও কোচিং ফি’র টাকা বাধ্যতামূলক পরিশোধ করার জন্য বিদ্যালয় থেকে বলা হচ্ছে। এমনকি কোচিংয়ের টাকা না দিলে ফরম পূরণ বা পরবতীর্তে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলেও পরীক্ষার্থীদের কৌশলে হুমকি দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা— এমন অভিযোগ একাধিক অভিভাবকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, ফরম পূরণ বা কোচিং করানোর ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সভায় বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর বিষয়ে সবাই একমত ছিলেন না। তবুও বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফরম পূরণের সাথে কোচিংয়ের জন্য টাকা আদায়কারী বিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষক শাহীন বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে কোচিংয়ের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। কোচিং না হলে ফলাফল খারাপ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের ভালো জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ বলেন- সকলের মতামতের ভিত্তিতে কোচিং চালু করা হয়েছে। যদি কেউ কোচিং করতে না চায় তাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন, আমি বিষয়টি দেখবো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়নাল হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজুলেশন করে পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ভাল করার জন্য কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর অন্য কিছু না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বীথিকা সরকার বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে ফলাফল ভাল করার জন্য অল্প টাকায় বা বিনামূল্যে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হয়। কিন্তু এতো (দেড় হাজার) টাকা নিয়ে কোচিং বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন- বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।