প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২৪ , ২:৫১:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পশুরীকাঠী গ্রামে এক শিশুকে চড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মোঃ সুলতান হাওলাদারের পুত্র মোঃ নয়ন হোসেন বাদি হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে পশুরীকাঠী গ্রামের মোঃ ইছাহাক মোল্লার পূত্র মোঃ রাজ্জাক মোল্লা (২৪), মোঃ ফিরোজ মোল্লা (২৮), মোঃ শাহিন মোল্লা (২৫), মোঃ সুজন মোল্লা (১৯) কে আসামী করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীরা জোড় পূর্বক রাস্তার জমি দখল করে বেড়া দিয়ে চলাচালে বাঁধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে বাদীরা প্রতিবাদ করলে আসামীরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে শুভ (১০) বাড়ির সামনে খেলতে গেলে মোঃ সুজন মোল্লা শুভকে অহেতুক চড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে মোঃ সুমন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হয়ে মোঃ সুজন মোল্লার কাছে শুভকে চড় মারার কারন জানতে চাইলে সুমনকে কিল ঘুষি মারে সুজন। তখন বাদীরা বসতবাড়ির সামনে বসে সুমন ও শুভকে মারধরের কারনে ডাক চিৎকার করলে আসামীরা দা, চাপাতি, লোহার শাবল নিয়ে উপস্থিত হয়ে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- পশুরীকাঠী গ্রামের মোঃ লিটন হাওলাদারের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩৫), মোঃ সুলতান হাওলাদারের পূত্র মোঃ হান্নান হাওলাদার (৪০), মোঃ বারেক হাওলাদারের পূত্র মোঃ লিটন হাওলাদার (৪৫), মোঃ লিটন হাওলাদারের পূত্র মোঃ সুমন হাওলাদার (১৮)।
সেসময় আসামী রাজ্জাক মোল্লা, মোঃ ফিরোজ মোল্লা, মোঃ শাহিন মোল্লা ও মোঃ ইছাহাক মোল্লার হাতে থাকা দা-লোহার শাবল দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করলে চম্পা বেগম, মোঃ হান্নান হাওলাদার ও মোঃ লিটন হাওলাদারের মাথায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত করে। অপর আসামী মোঃ সুজন মোল্লা সুমনের বাম পাশের কানে চাপাতি দিয়া কোপ দিলে রক্তাক্ত জখম হয়।